ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কিডনি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বন্ধের পথে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩  
কিডনি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বন্ধের পথে

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিসেস অ্যান্ড ইউরোলজির (নিকডু) কাছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোরের পাওনা অর্থ পরিশোধের বিষয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি। এর জের ধরে কোনো ঘোষণা ছাড়াই রোববার (২২ জানুয়ারি) নিকডুতে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে তা আবার চালু করা হয়।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) স্যানডোরের তরফ থেকে নিকডু কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, আজ সোমবার) থেকে তারা আর ডায়ালাইসিস কার্যক্রম চালাবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্যানডোরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের পাওনা পরিশোধ না করলে ডায়ালাইসিস একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বকেয়া আছে। ফলে, কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু, সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।

নিকডু সূত্রে জানা গেছে, কিডনি হাসপাতালে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু থাকে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর এ ডায়ালাইসিস সেন্টার পরিচালনা করে আসছে।

সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকালে সাধারণ দিনের মতো রোগীরা সেন্টারে এলে স্যানডোর কর্তৃপক্ষ ডায়ালাইসিসের জন্য কাঁচামালের সঙ্কটের কথা জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। ফলে, ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা। এরপর তারা তাদের বকেয়া পরিশোধ না করলে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায়।

নিকডুতে স্যানডোরের ব্যবস্থাপক মো. নিয়াজ খান বলেন, কাঁচামালের সঙ্কট থাকায় সরকারের কাছে পাওনা টাকা চেয়ে একাধিকার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনো সাড়া পাচ্ছি না। টাকা না পেলে সেবা আবারও বন্ধ রাখার আশঙ্কাই বেশি।

উদ্ভূত পরিস্থিতি বিষয়ে নিকডুর পরিচালক অধ্যাপক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, শুনেছি, গতকাল ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দিয়েছিল, পরে আবার চালু করেছে। স্যানডোরের চুক্তি হাসপাতালের সঙ্গে নয়, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। তারা সেখানে যোগাযোগ করুক। ডায়ালাইসিস বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর নিকডু ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল স্যানডোর। এবারও বকেয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য একই পথ বেছে নিলো কোম্পানিটি।

মেয়া/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়