কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চুরির অপবাদ দিয়ে মুন্না (১৬) নামের এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে লোহার শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ওই ঘটনায় মুন্নার সৎ মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভুক্তভোগী কিশোরের মামী মমতাজ (৪৫), মামাতো বোন তানিয়া (৩০) এবং প্রতিবেশি শামীম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার মুন্নার বাবা নিজাম রাড়ি ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। মুন্নার সৎ মা ঘর তালাবদ্ধ করে কয়েকদিন আগে তার স্বামীর কাছে ঢাকায় বেড়াতে যান। এ সময় মুন্না বোয়ালিয়া গ্রামের তার বাড়ির পাশে মামার ঘরে থাকতো। ৯ মে রাতে সে তার মামার ঘরে ঘুমায়। রাতে তার মামাতো বোন তানিয়ার স্বামীর ব্যাগে রাখা ৮০ হাজার টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় মুন্নাকে ওই টাকা চুরির অপবাদে গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে কয়েক দফায় মারধর করা হয়। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে ঘটনার পর থেকে কিশোর মুন্না নিখোঁজ রয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোরকে একটি গাছের সঙ্গে লোহার শিকলে বেঁধে বোয়ালিয়া বাড়ির হজরত আলী নামে এক ব্যক্তি মারধর করছেন। এ সময় আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন বিষয়টি দেখছেন। মারধরে কিশোরের শরীরে রক্তাক্ত জখম হতেও দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরের মা হাসিনা বেগম জানান, মুন্নাকে তিনদিন দফায় দফায় হযরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ ও তানিয়াসহ কয়েকজন মিলে অমানবিক নির্যাতন করে। ঢাকা থেকে আসার পর আর ছেলেকে আর খুঁজে পাচ্ছিনা।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার জানান, চুরির অপবাদে গাছে বেঁধে কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরের মা একটি মামলা করেছেন। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই কিশোরকেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরো পড়ুন: চুরির অপবাদে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
ইমরান/ মাসুদ
আরো পড়ুন