‘খালেদার জিয়ার স্বাস্থ্যহানি হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন বিএনপি এবং তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের যদি কোনো হানি হয়, তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।’

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল, পারেনি। তারা ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল, সেগুলোও জ্বালিয়ে দিয়েছিল।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল, মানুষের লাশের ওপর দিয়েই ক্ষমতায় টিকে ছিল।’

বিএনপির সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো মহাসচিবের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাকর যে, তার সামনে নেতাকর্মীদের মারামারি, বাকবিতণ্ডা হয় এবং তা থামানোর জন্য তাকে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে হয়। যারা নিজেদের সমাবেশে শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সারা দেশে সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, তারা কিভাবে দেশ চালাবার স্বপ্ন দেখে, এটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জবাবদিহিতার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কমিটির সদস্য তথ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকাল সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষ করে দুর্গাপূজার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে গুজব-বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে হামলা ও হানাহানিসহ পূর্বাপর ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন প্রশ্ন এসেছে, কোনো পত্রিকায় ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হলে সম্পাদক ও প্রকাশককেও দায়ী করা হয়, দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তেমনিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যখন গুজব রটানো বা অসত্য জিনিস প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়, সেটির দায়ও তো সেই মাধ্যমের সার্ভিস প্রোভাইডারকে নিতে হবে। গতকাল সিদ্ধান্ত এসেছে যে, সংসদীয় কমিটির আগামী যেকোনো বৈঠকে নোটিশ দিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যাদের এখানে সার্ভিস প্রোভাইডার আছে, তাদেরকে বৈঠকে ডাকা হবে। এ বিষয়টি তাদেরকে বলা হবে এবং ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে চিঠি গ্রহণ করেছে, সেটি ভালো দিক। আমি আশা করি, বিএনপি সংলাপে অংশ নেবে। তাদের যে ওজর-আপত্তি কিংবা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন, সেগুলো তারা সেখানে বলে আসতে পারে। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আচরণ হবে।’