খুলনা-কলকাতা নৌরুটে ১২৫টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ
খুলনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
রূপসা নদী (ফাইল ফটো)
খুলনা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১২২ কিলোমিটার নৌ-রুটের ১২৫টি পয়েন্টে চর পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুষ্ক মৌসুমে এসব পয়েন্টে ১২ ফুট গভীরতার নৌযানগুলোকে ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, কয়রা উপজেলার আংটিহারা থেকে খুলনা নদী বন্দর পর্যন্ত নৌপথে বিআইডব্লিউটিএ ১২৫টি বাঁশের খুঁটি বসিয়ে চিহ্নিত করেছে। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে ৬৫টি ডায়মন্ড মার্কার। প্রতি মাসে এ নৌপথে ৪ শতাধিক নৌ-যান পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নৌ-পথে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার পর খুলনা পর্যন্ত আসতে ১২টি নদী অতিক্রম করতে হয়। এসব নদী পথের সিংয়ের নালা, বজবজা, চালনা পল্টনের সামনে, বটবুনিয়া লঞ্চঘাট, কালীবাড়ি লঞ্চ ঘাটের পাশে, কলাগাছিয়া, দোবাকি, মুচিরদুয়ানি নামক স্থানসহ ১২৫টি স্থানে চর পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিদর্শক জালাল উদ্দিন জানান, পূর্ণ জোয়ার ছাড়া এসব স্থান দিয়ে নৌযান চলাচল করা সম্ভব হয় না। আংটিহারা থেকে বাংলাদেশি পাইলটের সাহায্যে খুলনার ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটে পণ্য বোঝাই নৌযান আনতে হয়। খুলনার ৭নং ঘাটে অবস্থানরত ভারতীয় জাহাজ এমভি আরতির মাস্টার রফিকুল শেখ জানান, কলকাতার খিদিরপুর থেকে খুলনা নদী বন্দর পর্যন্ত আসতে তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে। দুই হাজার মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে তিনি খুলনা বন্দরে এসেছেন। নৌ-পথে চর পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতীয় অপর জাহাজ প্যাসিফিক নেভিগেশনের মাস্টার শিপন সাহা জানান, খিদিরপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত আসতে পাঁচ দিন সময় লেগেছে। তিনি বলেন, জোয়ার ছাড়া ১২ ফুটের নৌ-যান চালানো সম্ভব নয়। এছাড়া বিদেশি চালকদের সন্ধ্যার পরে জাহাজ চালানো নিষেধ। তিনি ১ হাজার ৭৫৫ মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে নভেম্বরের প্রথম দিকে নদী বন্দরে এসে পৌঁছান। চাল খালাস করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যায়।
নূরুজ্জামান/তারা
আরো পড়ুন