গোমস্তাপুরে শুরু হয়নি মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় গত দুই বছরেও শুরু হয়নি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। গণপূর্ত বিভাগের দাবি, অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ করছে না। 

গোমস্তাপুর উপজেলার প্রসাদপুর এলাকায় প্রায় ৪৫ শতাংশ জমির উপর নির্মাণ হওয়ার কথা মডেল মসজিদটি। এ মসজিদের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করে ঠিকাদার কাজ করার জন্য জামানত দেয়। কিন্তু না জানা কিছু জটিলতা থাকায় মসজিদের নির্মাণ কাজ করবে না বলে ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগকে সাফ জানিয়ে দেয়। পরে পুনরায় আর দরপত্র আহ্বান করাও হয়নি, মসজিদের কাজও শুরু হয়নি। 

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন বলেন, ‘এই উপজেলায় যোগ দোওয়ার পর জানতে পারি কিছু জটিলতার কারণে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। শুনেছি এস্টিমেট কপিতে জটিলতা আছে। এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভালো বলতে পারবেন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যে জায়গাটিতে মসজিদটি নির্মাণ করার কথা সে জায়গাটি ডোবা জায়গা। আর তাই ঠিকাদার মসজিদ নির্মাণের কাজ করেনি বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণপূর্ত বিভাগ দিতে পারবে। গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ কাজ শেষ করার পর আমাদের কাছে মসজিদ ভবনটি হস্তান্তর করলে এর দায় দায়িত্ব তখন আমাদের।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  মহসীন বলেন, ‘২০১৯ সালের জুন-জুলাই মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নির্মাণ কাজের জন্য একজন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। পরে তারা আর মসজিদটির নির্মাণ কাজ করবে না বলে জানায়। পরে আর দরপত্র আহ্বান করা হয়নি তাই ঠিকাদার নিয়োগও হয়নি। আপাতত মসজিদটির নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে।’

কী জটিলতায় ঠিকাদার কাজ বন্ধ করেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মহসীন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা জানি না। উর্দ্ধতন পর্যায়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে যদি আমাদের ভুল পায়, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়াও যদি ঠিকাদারের ত্রুটি পাওয়া যায়, তাহলে তার জামানত বাতিল হবে।’ 

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পর্যায়ের চারতলা বিশিষ্ট একটি, ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল, আর ভোলাহাট উপজেলায় তিনতলা বিশিষ্ট মোট ৫টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। চলতি আগষ্ট মাসে মসজিদ গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে গণপূর্ত বিভাগের।