ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জনসচেতনতা তৈরিতে ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ 

মুহতাসিম আবশাদ জিসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২২, ৮ এপ্রিল ২০২১  
জনসচেতনতা তৈরিতে ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ 

প্রতিনিয়ত জীবনের তাগিদে বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ, নিরাপদ দূরত্ব মানছেন না অনেকেই। লকডাউনের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যেসব দোকান খোলা, সেগুলোতে যেন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তাদের কাজ করতে পারেন, সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে তারা। বলছি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’-এর কথা। করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনটি প্রতিনিয়ত করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। 

তারই ধারাবাহিকতায় ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’ ৬ এপ্রিল থেকে রংপুর নগরীর বিভিন্ন জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও ঔষধের দোকানের সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সুরক্ষা মার্কিং করে দেয়। বিক্রেতাদের বুঝিয়ে দেন ক্রেতারা আসলে এই মার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে যেন পণ্য কেনেন। অসচেতন মানুষকে সচেতন করতে সংগঠনের সদস্যরা চালাচ্ছেন নিরাপত্তা কাউন্সিলিং কর্মসূচী। মাস্ক ছাড়া অসচেতনভাবে যারা বের হন, তাদের বিনামূল্যে মাস্ক প্রদান করেন ও মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করেন। 

এ বিষয়ে সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহতাসিম আবশাদ জিসান বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আমরা আবার মাঠে নেমেছি, আমাদের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সেটা হলো জনসচেতনতা, আর জনসচেতনতার জন্য আমরা বাজার, দোকানগুলোয় সুরক্ষা মার্কিং করছি, বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছি, সেইসঙ্গে চলছে আমাদের নিরাপত্তা কাউন্সিলিং।’

‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম আলম তাসিন বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ পরিবারকে ‘‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’’-এর পক্ষ থেকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। রংপুর শহরে ১৭০০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়। ’’

‘এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার প্রদান, কর্মক্ষম মানুষের আয়ের পথ সৃষ্টির জন্য হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু, সেলাই মেশিন প্রদানের কাজ করছে চলো স্বপ্ন ছুঁই।  এখন পর্যন্ত ৫৫ এর বেশি অসহায় পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে পেরেছে চলো স্বপ্ন ছুঁই।  ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’-এর নারী স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নারীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় অসহায় পরিবারের ঘরে ঘরে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করা হয়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫টির বেশি ইভেন্ট আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি, আরও বেশ কিছু ইভেন্ট চলমান রয়েছে। আমাদের সংগঠনের সব সদস্যই শিক্ষার্থী। সদস্যদের টিউশন, বৃত্তির টাকায় আমাদের অর্থায়ন হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সমাজের বিত্তবানদের অনেকেই আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির মানুষের স্বপ্ন পূরণই আমাদের কাজের লক্ষ্য। অসহায় মানুষদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা খুব অল্প সময়ে অর্জন করেছি-DYC International Bravery Award,  Covid-19  Hero Award এবং Corona Warrior Moyurpongkhi Global Award।’

রংপুর/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়