ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে পিসিবির মন্তব্যের সমালোচনা ইনজামামের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১১, ২৬ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১০:১৩, ২৬ অক্টোবর ২০২০
টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে পিসিবির মন্তব্যের সমালোচনা ইনজামামের

পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক আজহার আলীর নেতৃত্বভার সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে পিসিবি। চলতি বছরে নিউ জিল্যান্ড সফরের আগেই আজহারকে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। তবে এমন সিদ্ধান্ত ও বার্তা দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির সাবেক প্রধান নির্বাচক ও তারকা ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক। তিনি পিসিবির প্রধান নির্বাহীর এমন মন্তব্যের সমালোচনাও করেছেন।

গত বছর অক্টোবরে সরফরাজ আহমেদের কাছ থেকে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পান আজহার। এই ব্যাটসমানের নেতৃত্বে আট টেস্টের মধ্যে দুটি জিতেছে পাকিস্তান। ড্র করেছে তিনটি ম্যাচ। হারও তিনটি। কিন্তু এক বছরের মাথায় নতুন অধিনায়ক কাকে দেওয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার পর থেকে আজহারের প্রতি নাখোশ পিসিবি।

কিছুদিন আগে ওয়াসিম খান আজহারকে নিয়ে বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে আজহারের অধিনায়কত্ব পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’ এদিকে এই মাসেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামবে পাকিস্তান। ইনজামাম মনে করছেন, দলের প্রতি কোনো বার্তা দেওয়ার আগে অন্তত এই সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেছেন, ‘পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে এখন নতুন একটা বিতর্ক শুরু হয়েছে। পিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন নিউ জিল্যান্ড সফরের টেস্ট দল ঘোষণার আগে আজহার আলীর অধিনায়কত্ব পর্যালোচনা করা হবে। এই ধরনের বক্তব্য দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে।’

শুধু তাই নয় অধিনায়কের দায়িত্ব পেতে অনেকে তদবির শুরু করতে পারেন বলে মনে হয়েছে ইনজামামের, ‘এই পদের সম্ভাবনায় থাকা যে কোনো ক্রিকেটার নিজের জন্য তদবিরের চেষ্টা করবে যা দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নষ্ট করবে। যদি অধিনায়ক পরিবর্তন করাই হয় তাহলে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর করা উচিত। মিডিয়ায় এসব গাল গল্প বলার কোনো অর্থই নেই। পিসিবিই এসব তথ্য বাইরে ফাঁস করে। এসব করে হয়তো পিসিবি মিডিয়া ও জনসাধারণের আবেগ বোঝার চেষ্টা করে। কিন্তু এসব দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

ঢাকা/কামরুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়