ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কোনো ছেলেখেলা নয়: নাজমুল হাসান

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:৪৮, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কোনো ছেলেখেলা নয়: নাজমুল হাসান

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন ম্যাচ খেলতে অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফর করার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় সফরটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শ্রীলঙ্কা সরকারের কড়া শর্ত মেনে সফরে যেতে রাজি নয় বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাফ কথা, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ছাড় দেবে না। শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে ছেলেদের মাঠে নামাতে চান তিনি।

জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড সবার আগে মাঠে ক্রিকেট ফিরিয়েছে। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এরপর আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তান এবং সবশেষে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে আতিথেয়তা দিয়েছে নিজেদের মাটিতে।  করোনার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে আইসিসি বেশ কড়া নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করে ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরেছে ইংল্যান্ড। অতিথি দলকে শুরুতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এ সময়ে হোটেল থেকে বের হয়ে একাকী অনুশীলন করতে পেরেছেন ক্রিকেটাররা। কোয়ারেন্টাইন শেষে অতিথি দল পেয়েছে পর্যাপ্ত সুযোগ। এরপর মূল লড়াইয়ে নেমেছে তারা।

কিন্তু শ্রীলঙ্কা সরকার বাংলাদেশকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিতে নারাজ। শ্রীলঙ্কা সরকারের নির্দেশনা, অনুশীলন ছাড়াই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে সফরকারী দলকে। এ সময়ে হোটেলেই বন্দী থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। এরপর এক সপ্তাহ পরই শুরু হবে সিরিজ। ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা ও বিসিবি সর্বোচ্চ ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাজি। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ কড়া নিয়মের কারণে সিরিজে যেতে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাচ্ছি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কোনো ছেলেখেলা না। কিন্তু ওদের এবং আমাদের মধ্যে বিরাট চিন্তার পার্থক্য। সব দিক বিবেচনা করে বুঝলাম এখন ওখানে যাওয়া কোনো ভাবে সম্ভব না। ’

লঙ্কান বোর্ড কোনো সহযোগিতা করতে পারবে না। শ্রীলঙ্কার পাঠানো প্রস্তাবে এমন কিছু ছিল জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা ডাম্বুলাতে ক্যাম্প করতে চেয়েছি। সেটা তো এমনিতেই আইসোলেটেড। আশ্চর্যজনক হলো, সকল স্বাগতিক দল নেট বোলার ও বল থ্রোয়ারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু ওরা কিছুই দেবে না। ওরা অনুশীলন ম্যাচের সুযোগ দেবে না। আমাদের খেলোয়াড়রা ৭ মাস খেলার বাইরে। অথচ ওদের ওখানে লিগ হচ্ছে। এখানে আমাদের খেলোয়াড়দের অনুশীলনের সুযোগ নেই। ওখানেও অনুশীলন করতে পারব না। এটা তো হতে পারে না। ’

নাজমুল হাসানের শঙ্কা, ‘একটা কারণ থাকতে পারে ওদের দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ কিন্তু আমরা জানি না।’ কিন্তু শ্রীলঙ্কায় নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে। নভেম্বরে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগও চালু করতে চায় তারা। তখন বিভিন্ন দেশ থেকে আসবেন ক্রিকেটাররা। একটি দলকে-ই যদি চূড়ান্ত করতে না পারে শ্রীলঙ্কা তাহলে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ কিভাবে চালাবে? একই প্রশ্ন বিসিবি সভাপতিরও।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়