ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘তবুও থামছে না বাল্যবিয়ে’

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩২, ৫ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ১২:৩৩, ৫ অক্টোবর ২০২২
‘তবুও থামছে না বাল্যবিয়ে’

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও রোধ করা যাচ্ছে না এ কার্যক্রম। বিভিন্নভাবে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেই চলেছে। 

করোনাকালে দুই বছর খুলনায় তিন সহস্রাধিক বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে। যা বর্তমানে কিছুটা কমলেও বন্ধ হয়নি, অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, গত তিন বছরে খুলনা মহানগর উপজেলায় প্রশাসন ও সচেতন মানুষের পদক্ষেপে ১৮০টি বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

সূত্র জানায়, শহর, বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ, হাটে-মাঠে, বিলবোর্ড, সিনেমা ও সংবাদপত্রে প্রচারণা হচ্ছে ‘বাল্যবিয়েকে না বলুন’। জেলা, উপজেলা, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষক, এনজিও, কাজী, ধর্মীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত বাল্যবিয়ে থামাতে। দাতাগোষ্ঠীও টাকা ঢালছে এ প্রকল্পে। তবুও থামছে না বাল্যবিয়ে। মহানগরীর চেয়ে গ্রামে বাল্যবিয়ে বেশি।

সূত্র জানায়, করোনা মহামারিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্রামে বাল্যবিয়ের হিড়িক পড়ে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রেমজনিত সম্পর্কের কারণে আত্মমর্যাদা রক্ষার্থেও অভিভাবকরা বিয়ে দিতে বাধ্য হন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর খুলনার সূত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় জেলায় ২০২০ সালে ৬২টি, ২০২১ সালে ৫৮ টি এবং চলতি ২০২২ সালের জুন পযন্ত ৬০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীতে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেনি। তবে গেল দুই মাসের মধ্যে তেরখাদা উপজেলায় ৬টি, দিঘলিয়া উপজেলায় ৩টি, রূপসা উপজেলায় ২টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২টি, দাকোপ উপজেলায় ৩টি পাইকগাছা উপজেলায় ৪ এবং কয়রা উপজেলায় ১টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

সম্মিলিত চেস্টায় বাল্যবিয়ের কবল থেকে দিঘলিয়া উপজেলার কেয়া খাতুন, সাব্বির চৌধুরী, আরতী রায়, তেরখাদা উপজেলার সোনিয়া খাতুন, রোকসানা আর্ণিকা, আদুরী বেগম, আমেন খাতুন, আশা লতা রায়, রূপসা উপজেলায় লিজা সুলতানা, তানিয়া খাতুন, ডুমুরিয়া উপজেলায় সুমনা পারভীন, মানসুরা খাতুন, মারিয়াম সুলতানা মারিয়া, লিমা খাতুন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় তারা রায়, বিউটি মন্ডল, দাকোপ উপজেলায় নাসরিন খাতুন, কল্যানী সরকার, তমা খাতুন, পাইকগাছা উপজেলায় লাইলী আক্তার মেঘলা, রিয়া আক্তার, সুরাইয়া আক্তার, মারিয়া খাতুন ও কয়রা উপজেলায় রিয়াকে রক্ষা পেয়েছে। তারা শিক্ষা জীবন অব্যাহত রেখেছে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের (খুলনা) উপ-পরিচালক হাসনা হেনা বলেন, সচেতনতার কারণে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। 

তিনি জানান, মহানগরীর তুলনায় খুলনায় এ ধরনের বিয়ের তৎপরতা বেশি। তবে অনেক ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ের খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছায় না। 

/নূরুজ্জামান/সাইফ/ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়