‘তারা যদি বুঝে-জেনে কথা বলে তাহলে ভালো’, সমালোচনাকরীদের উদ্দেশ্যে শান্ত
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
নাজমুল হোসেন শান্তর ৬৬ বলে ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১১ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সংগ্রহ ১৭৩ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল ২ রানের জন্য জিততে পারেনি।
সিলেটের আরেকটি জয়ের নায়ক বাঁহাতি ওপেনার শান্ত। এবার বিপিএলে তার ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। ৭ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৮১ রান। অথচ বিপিএলের আগে শান্তকে নিয়ে কতো সমালোচনা। শুধু বিপিএলের আগেই নয়, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ থেকেই শান্ত পুড়ছেন সমালোচনাকারীদের অনলে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দর্শকদের কাছে সমালোচনা-ট্রলের শিকার কে হননি? মিনহাজুল আবেদীন, আকরাম খানরা গ্যালারি থেকে রীতিমতো গালিগালাজ শুনতেন। মাশরাফি, সাকিব, তামিমরা গ্যালারির দুয়োধ্বনি পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময়ে ট্রল হচ্ছে অনলাইন দুনিয়ায়। সঙ্গে সামনাসামনিও সমালোচনা, স্লেজিং বাদ পড়ছে না। সবকিছুকেই সহ্য করতে হচ্ছে শান্তকে।
তবে বিপিএলে রান পাওয়ায় সেই রেশ থেমেছে কিছুটা। রান করায় সমালোচনাকারীদের মুখ বন্ধ হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে তার কোর্টে। জবাবে শান্ত বেশ নীরব। কাউকে জবাব দেওয়ার জন্য ২২ গজে ব্যাটিং করেন না বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। খেলেন নিজের জন্য। দলের চাহিদা পূরণে। বরং সমালোচনাকারীদের বাস্তবতা মানার কথাই বললেন এ ব্যাটসম্যান।
বরিশালকে হারানোর পর ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণ করে সংবাদ সম্মেলনে কথার ঝাঁপি খুলে দেন শান্ত।
‘পরিবর্তন (সমালোচনাকারীদের ভাবনা) হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটা আমি বলতে পারবো না। এটা যার যার চিন্তা ভাবনা থেকে বলে। আমি এটা নিয়ন্ত্রণও করতে পারব না। পরিবর্তন হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আমি খুব চিন্তিতও না। যদি হয় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। যদি না হয় আমার হাতে কিছু নেই। এটা যার যার চিন্তা ভাবনা থেকেই বলে।’
শান্তর কথায় উঠে আসে পরিবারিক উৎকণ্ঠাও, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার জন্য যতটা না কঠিন... তার থেকে বেশি কঠিন আমার পরিবারের জন্য। সত্যি বলতে, আমি যেভাবে বুঝি আমার পরিবারের সদস্যরা কিন্তু সেভাবে বোঝে না। তারা কষ্ট পায়। তারাও বাইরে যায়। এই জিনিসটার জন্য আমি মাঝে মাঝে হতাশ হয়েছি। আমারও কষ্ট লেগেছে।’
‘এটা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। অনেকে না জেনে, না বুঝে হয়তো কথা বলে ফেলে। দলের পরিকল্পনা, আমার পরিকল্পনা কিংবা আমি কতোটা পরিশ্রম করি সেসব বলে দেয়। অনেকে জানে না সেসব। অনেকের জানার প্রয়োজনও নেই। এগুলো নিয়ে যত বেশি কথা আমি বলবো তত বেশি বলা হবে। এটা আসলে যার যার চিন্তা থেকে বলে। কিন্তু তারা যদি বুঝে কথা বলে, জেনে কথা বলে তাহলে ভালো।’
‘আমি এটা বলছি না যে, আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। আমি মনে করি আরও ভালো পন্থায় হতে পারতো। যেটা আমার পরিবারের জন্য ভালো হতো। এতোটুকুই।’
ইয়াসিন/আমিনুল
আরো পড়ুন