ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও প্রধান সহকারীর সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২২ জানুয়ারি ২০২৩  
নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও প্রধান সহকারীর সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা ও তার প্রধান সহকারী শিমুল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এর প্রমাণ পাওয়ায় তাদের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক দুটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুজনকে দেওয়া পৃথক নোটিসে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনি আপনার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আপনি নিজ ও নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন। ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদক সূত্র জানায়, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা ও তার প্রধান সহকারী শিমুল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে মিথ‌্যা বিল ভাউচার দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৭৭টি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।

মিথ্যা বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ অত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত‌্যতা পায় দুদক।

নঈমুদ্দীন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়