ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা চায় ডিসিসিআই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ২২:৫৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা চায় ডিসিসিআই

আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ডিসিসিআই’র নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার সময়োপযোগী মুদ্রানীতি ঘোষণা করায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা সহায়ক নীতি এবং নির্দেশিকা দেশের বেসরকারি খাতের পাশাপাশি আর্থিক খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

তিনি কৃষি, সিএমএসএমই এবং আমদানি বিকল্প শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প অব্যাহত রাখার উদ্যোগকেও স্বাগত জানান। সেই সঙ্গে দেশের সিএমএসএমই খাতের স্বার্থে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তি এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেসরকারি খাতের অবদান বাড়াতে এ খাতে ঋণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানান সামীর সাত্তার। এছাড়া, তিনি নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে অভ্যাসগত খেলাপীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরামর্শ দেন সামীর সাত্তার।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, সেগুলো হলো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কর্তৃক সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি। এসব চ্যালেঞ্জ সত্বেও আমাদের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে এলসির বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

তিনি নিশ্চিত করেন যে, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশকিছু নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর সম্পর্কে গভর্নর বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতিগত পরিবর্তন এনেছে, যার মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল করা, স্থানীয় ব্যাংক কর্তৃক ফি মওকুফ এবং রেমিট্যান্স আহরণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) সম্পৃক্ত করা। ফলে, সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি।  

এনএফ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়