ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পণ্য পরিবহনে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কিনবে রেলওয়ে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ৩১ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ০০:৪০, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
পণ্য পরিবহনে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কিনবে রেলওয়ে

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানসহ মোট ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কিনবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) রেল ভবনে এজন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়াং বিং।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রেলপথমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছেন। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নসহ রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসাবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের অনুমোদন করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে রেলওয়ে রাজশাহী থেকে আম পরিবহন করেছে। এছাড়াও শাকসবজি ও নিত্যপণ্য পরিবহন করেছে। কোরবানির ঈদে পশু পরিবহন করেছে। ভবিষ্যতে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ হিসাবে লাগেজ ভ্যান ক্রয় করা হচ্ছে।’

রেলের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। অনেক আগের করা কমিটি তাদের বক্তব্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। ’

এটির ভুল ব্যাখ্যা মিডিয়ায় চলে এসেছে বলেও উল্লেখ করেন রেলপথমন্ত্রী।

লাগেজ ভ্যানগুলো স্টেইনলেস স্টিলবডি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চগতিসম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় সাধারণ ও বিশেষায়িত পণ্য, যেমন বিভিন্ন রকমের খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য ইত্যাদি কম খরচে ও কম সময়ের মধ্যে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

রেলওয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য ৪ কোটি ২৭ লাখ ৪১ হাজার ৫৬৯ ডলার প্রয়োজন হবে, যা বাংলাদেশি ৩৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার (সিডি-ভ্যাট ছাড়া) সমপরিমাণ।  চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ২০ মাসের মধ্যে এগুলো সরবরাহ শুরু হবে এবং ২৭ মাসের মধ্যে সরবরাহ শেষ হবে।

ঢাকা/হাসান/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়