ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পদ্মার ৪ মাছ বিক্রি হলো ৯৭ হাজারে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ২০ জুন ২০২২  
পদ্মার ৪ মাছ বিক্রি হলো ৯৭ হাজারে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ২০ কেজির দুটি বাঘাআইড়, ১২ কেজির একটি বোয়াল ও ১৯ কেজির একটি পাঙ্গাশ মাছ।

সোমবার (২০ জুলাই) সকালে পদ্মায় বাঘাআইড় দুটি সাদেক হালদারের জালে ধরা পড়ে। বোয়াল ধরা পড়ে সাঈদ হালদারের জালে। আর পাঙ্গাশ মাছটি ধরে এরশাদ মন্ডল। পরে মাছগুলো ৯৭ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানান গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান।

জেলে সাদেক হালদার বলেন, ‘ভোর রাতের দিকে কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যাই। দীর্ঘক্ষণ মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ি। পরে যখন বাড়ি ফিরে আসব বলে শেষবারের মতো জাল ফেলি, জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার সময় কয়েকবার ঝাকি দিলে বুঝতে পারি— বড় মাছ আটকা পড়েছে। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পাই বড় দুটি বাঘাআইড় মাছ। মাছ দুটি সকাল ৯টার দিকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসি দৌলতদিয়ার মাছ বাজারের আড়তদার আনোয়ার খাঁর ঘরে। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন।’  

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে আনোয়ার খাঁর আড়ত থেকে নিলামে অংশ নিয়ে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে দুটি বাঘাআইড় মাছ ৪৪ হাজার টাকায় কিনি। একটি মাছের ওজন সাড়ে ১৯ কেজি ও আরেকটি সাড়ে ২০ কেজি। পরে যোগাযোগ করে ঢাকার ব্যবসায়ীর কাছে মাছ দুটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করি।’

সাঈদ এবং এরশাদ মাছ দুটি আড়তে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনলে মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা কিনে নেন।

মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, ‘১২ কেজির বোয়াল মাছটি সকালে দৌলতদিয়ার রওশন মোল্লার আড়ত থেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে ২১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনি। ১৯ কেজির পাঙ্গাশ মাছটি দুলাল মন্ডলের আড়ত থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার ৬৫০ টাকা কিনি। পরে পাঙ্গাশ মাছটি ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজি দরে ২৭ হাজার ৫৫০ টাকায় ঢাকার ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছি।’

গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, বর্তমানে পদ্মায় যেসব বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে, এ সব মাছ গভীর জলে বসবাস করে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে এ সব মাছ খাবারের সন্ধানে উপরে চলে আসছে। যার ফলে মাঝে মধ্যে জেলের জালে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাঘাআইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জেলের জালে ধরা পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণেও এসব মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। নদীর এসব মাছ বিক্রি করে জেলেরা অনেক লাভবান হচ্ছে।

সুকান্ত/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়