ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের দাম কমেছে 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ১৮ জুন ২০২২   আপডেট: ১৯:২৭, ১৮ জুন ২০২২
বন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের দাম কমেছে 

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজারে আমের দাম কমেছে। বৃষ্টির কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (১৮ জুন) কানসাট বাজারে আম ওঠে। তবে দাম মণে ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। 

তবে চাষিরা মনে করছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আমের দাম কমেছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে দাম আগের মতো পাবেন তারা। তবে আম ব্যাপারিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমের চাষ বেশি হওয়ায় অন্য জেলার বাজারে চাহিদা কমে গেছে। এতে দামে প্রভাব পড়েছে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র জানা গেছে, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘা জমিতে ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০টি গাছে আমের আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। 

আম চাষি মহব্বত আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ও শুক্রবার (১৭ জুন) বৃষ্টির কারণে চাষিরা কানসাট বাজারে আম আনতে পারেনি। এ দুই দিনে আমের দাম মণে ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বন্যার পানি কমে গেলে দাম ফের বাড়বে। গত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম বেশি। গত বছর ক্ষিরশাপাত আম বিক্রি হয় ১৫০০-২০০০ টাকা মণে। কিন্তু এবার ক্ষিরাপাত রকমভেদে ২৫০০-৪০০০ টাকা মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

আম চাষি আবুল হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা। বন্যার কারণে বাইরের জেলায় আমের সরবরাহ কমে গেছে। আবার আম পচনশীল হওয়ায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত দুই দিনে গাছ থেকে পেড়ে আম বাজারে আনা যায়নি। নষ্ট হওয়ার ভয়ে কম দামেই বিক্রি করেছি।’ 

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে আমের দাম কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।  

গত বছরের তুলনায় আমের দাম বেশি হওয়ায় ব্যাপারিরা লাভ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ৩ হাজার টাকা মণদরে আম কিনে অন্য জেলায় নিয়ে বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না তারা। কেনা দামের সঙ্গে যাতায়াত ভাড়া, লেবার খরচও রয়েছে।

আম ব্যাপারি নিয়ামতুল্লাহ বলেন, ‘গত বছর ফজলি আম ৭০০-১০০০ টাকা মণে কিনেছিলাম। এবার ঝড়েপড়া কাঁচা আম কিনতে হয়েছে ৯০০-১০০০ টাকা মণে। এখন কানসাটে ভালো মানের আম বিক্রি হচ্ছে ২০০০-২৫০০ টাকা মণে। এতে আমের দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে।’ 

সেরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যাপারি বলেন, ‘এখান থেকে আম কিনে অন্য জেলায় নিয়ে পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে যে দাম পড়ে যায়, সেই দামে মানুষ আম কিনতে চায় না। তাই আমাদের লোকসানের আশঙ্কা থাকছে।’  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমের দাম বেশি। বাগানে আমও কম। তবে বন্যার কারণে অন্য জেলায় আম সরবরাহ কমে গেছে, এতে স্থানীয় বাজারে দাম সাময়িক কমে যেতে পারে। 

শিয়াম/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়