ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বার্সা কোচ কোম্যানের অজানা পাঁচ তথ্য

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৬, ১৯ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বার্সা কোচ কোম্যানের অজানা পাঁচ তথ্য

নেদারল্যান্ডসের সাবেক ফুটবলার এবং কোচ রোনাল্ড কোম্যান যে, কাতালান ক্লাবটির নতুন কোচ হবেন এটা জানাই ছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও এলো ক্লাবের পক্ষ থেকে। ফুটবলার এবং কোচ দুই ক্ষেত্রেই নাম কামিয়েছিলেন ডাচ এই ভদ্রলোক। সাফল্য যেমন জড়িয়ে আছে কোম্যানকে ঘিরে, আছে বিতর্ক, ব্যর্থতা এবং অদ্ভুতুড়ে ভালোবাসার গল্পও।

রাইজিংবিডি’র পাঠকদের জন্য বার্সার নতুন এই কোচের পাঁচটি অজানা তথ্য তুলে ধরা হলো।

প্রথম ক্লাবই কেবল ব্যতিক্রম

রোনাল্ড কোম্যানের ক্যারিয়ারের শুরু হয় ডাচ ক্লাব এফসি গ্রোনিঙ্গেনের হয়ে। এরপর ক্লাব ক্যারিয়ারে নেদারল্যান্ডসের বড় বড় ক্লাব পিএসভি, আয়াক্স হয়ে খেলেছিলেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাতেও। জাতীয় দলের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এই ফুটবলার। আর এই সব ক্লাবের মধ্যে কেবল প্রথম ক্লাব গ্রোনিঙ্গেনই ব্যতিক্রম। এই ক্লাব ছাড়া কোম্যান যত ক্লাবে খেলেছিলেন সব ক্লাবেই কোচ হিসেবে এসেছিলেন। এমনকি জাতীয় দল নেদারল্যান্ডসেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কোম্যান।

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় বিতর্ক

১৯৯৮ ইউরোর সেমিফাইনালে জার্মানির মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস। আর সে ম্যাচটি হয়েছিল জার্মানির মাঠে। সে ম্যাচে স্বাগতিকদের পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় কোম্যানের নেদারল্যান্ডস। আর ম্যাচ শেষে জার্মান ফুটবলার ওলাফ থনের সঙ্গে জার্সি বদল করেন কোম্যান। পরবর্তীতে জার্মান দর্শকের সামনেই সেই জার্সি নিজের নিতম্বে ঘষেন কোম্যান।

যা প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে হেরে রানার্স আপ হয়ে থামতে হয় ডাচদের। প্রচুর দুয়ো শুনতে হয় কোম্যানকে। তবে এসব নিয়ে কোনো ভ্রক্ষেপ ছিল না কোম্যানের। এমনকি এই ঘটনার জন্য অনুতাপেও পোড়েননি বলে জানান কোম্যান।

কার্টুনের চরিত্রে নামকরণ

ক্ল্যাসিক কমিক বই টিনটিনের সঙ্গে দেখতে অনেকটা মিল রয়েছে কোম্যানের। আর তাই ক্যারিয়ারজুড়ে এই ফুটবলারকে সবাই টিনটিন নামেই ডাকতো।

এই নাম ছাড়াও আরেকটি নামে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন কোম্যান। তবে সেটি কেবল বার্সেলোনায়। বার্সেলোনাকে ১৯৯২ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জেতানো গোল করার পর কাতালানের চিড়িয়াখানার এক আলবিনো উল্লুকের নামে কোম্যানকে ডাকতো বার্সা সমর্থকেরা।

সমান-সমান এবং হারের বৃত্তে থেকেও শিরোপা জয়

আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারে মোট ১৪টি গোল করেছিলেন সাবেক এই ডাচ মিডফিল্ডার। এই ১৪ গোলের অর্ধেক করেছিলেন নিজ জন্মভূমি নেদারল্যান্ডসে। বাকি অর্ধেক সমান ৭টি করেছিলেন দেশের বাইরে।

২০০৭-০৮ মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার দায়িত্বে ছিলেন কোম্যান। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো মৌসুমে অর্ধেকের বেশি ম্যাচে হার দেখেছিলেন কোম্যান। ক্লাবটির হয়ে হারের রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি। তবে সে মৌসুমে কোপা দেল রে জিতে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল কোম্যানের ভ্যালেন্সিয়া। 

বার্সেলোনার কোচ হওয়ার স্বপ্ন

২০১৭ সালে এভারটনের কোচিং পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর এমন স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন কোম্যান। যা শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়ে ধরা দিল। ১৯৯২ ইউরোপিয়ান কাপে (বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগ) একমাত্র গোল করে বার্সেলোনাকে জিতিয়ে নায়কের আসনে বসেছিলেন কোম্যান। এরপর থেকে সবাই তাকে বার্সার কোম্যান নামেই চিনতো।

সে কথা টেনে ক্লাবটির কোচ হওয়ার স্বপ্ন জানিয়ে এই ডাচ বলেন, ‘সবাই জানে আমি বার্সার খেলোয়াড়। এই ক্লাবের প্রতি আমার ভালোবাসার কথা কারো অজানা নয়। এই ক্লাবে আমি খেলোয়াড় এবং মানুষ হিসেবে পূর্ণতা পেয়েছিলাম। আমি স্বপ্ন দেখি বার্সার কোচ হিসেবে কাজ করছি।’

ঢাকা/কামরুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়