ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  
বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার আহ্বান

বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার, ট্রেড ইউনিয়ন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস্) উদ্যোগে আয়োজিত ‘অভিবাসন এবং অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব: পুনরেকত্রীকরণ এবং কাজে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন (দেশে ও বিদেশে)’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এ আহ্বান জানান। 

অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা, নতুন শ্রমবাজার খোঁজা এবং এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন-জীবিকার ওপর করোনার প্রভাব পর্যালোচনা, অভিবাসী শ্রমিকদের জীবন ও কাজের নিরাপত্তা, বিদেশফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের পুনরেকত্রীকরণে চলমান কার্যক্রমসমূহ পর্যালোচনা, করোনাকালে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সহায়তা এবং করণীয় নির্ধারণে প্রণীত নীতির ঘাটতি বিশ্লেষণও ছিল এ ওয়েবিনারের উদ্দেশ্য।

বিলসের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান সিরাজের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব নজরুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান। প্রধান আলোচক ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুল আলম। বক্তব্য রাখেন—ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (তথ্য প্রযুক্তি, গবেষণা ও পরিকল্পনা) নুরুন আখতার, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেশন মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক ড. সি আর আবরার, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের (এসএনএফ) আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেন, বিলসের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রিনা রায়, আইওএম বাংলাদেশের মাইগ্রেশন গভর্নেন্স হেড শাহরীন মুনির, আইএলও’র সাউথ এশিয়ার ডিসেন্ট ওয়ার্ক টেকনিক‌্যাল টিমের ওয়ার্কার্স অ্যাক্টিভিটিস স্পেশালিস্ট সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, আইএলও ঢাকার মাইগ্রেশন প্রজেক্ট চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার লেটেশিয়া ওয়েবেল রবার্টস প্রমুখ। ওয়েবিনারে বিদেশফেরত শ্রমিক রাশিদা বেগম এবং আইয়ুব আলী তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। 

মূল প্রবন্ধে শরীফুল হাসান বলেন, ‘বিশ্বের ৮৪টি দেশে প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতি আজকের অবস্থানে। কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকরা দেশে এবং বিদেশে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে দেশে ফেরত আসছেন। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, করোনার সময়ে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার শ্রমিক ফেরত এসেছেন। এ সময়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শ্রমিক বিদেশ যেতে পারেননি। বিদেশফেরত শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ডাটাবেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফেরত আসা শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট ডাটাবেজ নেই। ফেরত আসা শ্রমিকরা দেশে এসেও প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না।’

প্রধান আলোচক মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশের শ্রমবাজারে ২২ লাখ কর্মক্ষম মানুষ যুক্ত হন। প্রায় ৭ লাখ শ্রমিক কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যান। কিন্তু দক্ষ শ্রমিক কম। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এজন‌্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় কর্মসংস্থানের বিষয়টি যুক্ত করতে হবে।’ সরকার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতা বাড়িয়ে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়