ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ব্যাংকের ভেতর আনসার সদস্যদের মৃত্যু: রঞ্জুর স্ত্রী-সন্তানের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২০ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৩:২৮, ২০ জানুয়ারি ২০২৩
ব্যাংকের ভেতর আনসার সদস্যদের মৃত্যু: রঞ্জুর স্ত্রী-সন্তানের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার

ফাইল ফটো

নরসিংদীতে ব্যাংকে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যাওয়া আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়ার স্ত্রী সন্তানের চোখে এখন শুধুই অন্ধকার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিকে হারিয়ে তাদের মধ্যে নেমে এসেছে অন্ধকারের ছায়া।

মারা যাওয়া রঞ্জু মিয়ার বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কুড়ারিয়া পটল গ্রামে। 

আরও পড়ুন: ধোঁয়াশায় ব্যাংকের ভেতর দুই আনসার সদস্যের মৃত্যু রহস্য

রঞ্জু মিয়া এক মাস বয়সে মাকে হারান। এরপর বড় বোন মর্জিনা বেগম নিজের কাছে ধনবাড়ী উপজেলার দড়িচন্দ্রবাড়ী গ্রামে নিয়ে আসেন তাকে। সেখানেই নিজের সন্তানের মতো বড় করেন তাকে। ১৫ বছর আগে রঞ্জু মিয়ার চাকরি হয় আনসার বাহিনীতে। প্রায় পাঁচ বছর আগে আপন চাচাতো বোন সাথী বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নাম রায়সা।

রঞ্জুর এমন মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। তার বড় বোনের স্বামী সুলতান মিয়া বলেন, ‘এক মাস বয়স থেকে আমার বাড়িতে থেকে বড় হয়েছে রঞ্জু। কোনো মাদকের নেশা ছিলো না তার। শারিরীক কোনো সমস্যাও ছিলো না। তাই এই মৃত্যু আমাদের সবার কাছে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।’

আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে ২ আনসার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া রঞ্জু মিয়ার অপর বোন জামাই রোকন উদ্দিন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর কাছে ফোন করে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন রঞ্জু। রাতে আবার ফোন করবেন বলে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু আর ফোন করেননি। সকালে তার স্ত্রী কয়েক বার ফোন করেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি। সকাল ৯ টার পর একজন ফোন ধরেন। তিনি জানান, রঞ্জু অসুস্থ। তখন স্বজনরা যোগাযোগ করা শুরু করে নরসিংদীতে। দুপুর ১২ টার দিকে জানানো হয়, রঞ্জু ও আরো একজন ব্যাংকের ভেতর মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে ধনবাড়ী বোনের বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়। পরে সকল ১০ টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।’

রঞ্জু মিয়ার স্বজনরা জানান, দাফনের পর রঞ্জুর স্ত্রী সাথী বেগম মেয়ে রায়েসাকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে গেছেন। সেখানে রঞ্জুর জন্য শুক্রবার দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।’

সন্তানের মতো ভাইকে হারিয়ে রঞ্জুর বোন মর্জিনা বেগম পাগল প্রায়। তিনি বিলাপ করছেন আর বলছেন, ‘আমার এতিম ভাইটা তার মেয়েডারে এতিম কইরা চইলা গেলো। এহন ওদের দেখবো কে?’

কাওছার/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়