ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ব্যাটিং সাফল্যের মৃত্যু ফিল্ডিং ব্যর্থতায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ২৩ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৬:৪৪, ২৩ মার্চ ২০২১
ব্যাটিং সাফল্যের মৃত্যু ফিল্ডিং ব্যর্থতায়

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেই পুরোনো স্মৃতি এখনো দগদগে। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়মসনের সহজ রানআউট মিস করে মুশফিক নাগালে থাকা ম্যাচ দূরে ঠেলে দিলেন। এবার মঞ্চ ভিন্ন হলেও চিত্রনাট্য প্রায় একই। কেন উইলিয়ামসন না থাকলেও মুশফিকুর ঠিকই আছেন।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ফিরে এসেছিল কেনিংটন ওভালের দুঃস্মৃতি। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫৩ রানে মার্টিন গাপটিলের উইকেটসহ নিউ জিল্যান্ডের শুরুর ৩ উইকেট তুলে নেওয়ায় উঁকি মেরেছিল জয়ের সম্ভবনা। ডেভন কনওয়ে-টম লাথ্যাম ঘুরে দাঁড়ালেও ৯ বলে তিনটি ক্যাচ মিস করে কার্যত ম্যাচ নিউ জিল্যান্ডের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

৩৭ ও ৩৮তম ওভারে এই তিনটি ক্যাচ ছাড়ে বাংলাদেশ। মুশফিককে দিয়ে শুরু। এরপর মিথুন ও মাহেদী হাত ফস্কে ফেলে দিলেন নিশাম এবং ল্যাথামের ক্যাচ। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে নিশামের ক্যাচ ছাড়েন মুশফিক। সহজ ক্যাচ। ডানহাতি পেসারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নিশাম। বামদিকে ঝাপিয়েও মুশফিক ক্যাচটা গ্লাভসে রাখতে পারেননি। পরের বলেই ল্যাথাম তাসকিনের বলে কভারে ক্যাচ তুলেন। তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসব ক্যাচ হরহামেশাই ধরা যায়। মিথুন সেই ক্যাচও রাখতে পারলেন না। পরের ওভারে মাহেদি হাসান কিউই অধিনায়ক ল্যাথামের ফিরতি ক্যাচ মিস করলেন। মুলত এই তিন ক্যাচ মিসেই ম্যাচ বাংলাদেশের মুঠো গলে বেরিয়ে গেল! 

ল্যাথাম তুলে নিলেন ক্যারিয়ার পঞ্চম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ১০টি চারে। উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে যোগ্য নেতার মতো কাজটা সারলেন। সঙ্গে ছিলেন একদিনের ক্রিকেটের নতুন মুখ কনওয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান কঠিন মুহূর্তে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তুলে নিলেন প্রথম হাফসেঞ্চুরি। আউট হন ৯৩ বলে ৭২ রান করে। ল্যাথাম-কনওয়ে জুটি থেকে আসে ১১৩ রান। কনওয়ে আউট হলেও ল্যাথামের ম্যাচ বের করতে সমস্যা হয়নি। প্রথমে জেমস নিশাম পরে ড্যারেল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে নিশ্চিত করেন সিরিজ।

ক্যাচগুলো না ছাড়লে গল্প হতো অন্যরকম। কিউইদের মাটিতে পাওয়া যেতো প্রথম জয়। যেটার জন্য মুখিয়ে ছিল গোটা বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদী হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাজে শুরু ধাক্কা সামলে ওঠে তামিম-সৌম্যর ব্যাটে। সৌম্য ক্রিজে থিতু হয়ে ৩২ রানে ফিরলেও ক্যারিয়ারের ৫০ তম হাফসেঞ্চুরি করে দুর্ভাগা রানআউটে ফেরেন ওয়ানডে অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৮ বলে ৭২ রান। ইনিংসটি সাজানো ৭টি চারের মারে। মাঝে মুশফিক খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। মোহাম্মদ মিথুন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দিতে পারে বাংলাদেশ। মাত্র ৫৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ের মারে মিথুনের ইনিংসটি সাজানো ছিল। মাহমুদউল্লাহ ১৮ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।

ঢাকা/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়