ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভাস্কর্যবিরোধীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধীরা: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:০৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
ভাস্কর্যবিরোধীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধীরা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ফাইল ফটো)

ভাস্কর্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা এর পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতাদের হাতে মাস্ক তুলে দেন তথ‌্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু ভাস্কর্য বহু আগে নির্মিত হয়েছে। তখন কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ইসলামী বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে—সৌদি আরবে মানুষের মুখায়বসহ শুরু করে নানা ধরনের ভাস্কর্য আছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আতাতুল্লাহ খোমেনিরও ভাস্কর্য আছে। বাংলাদেশেও আগে থেকে বহু নেতার, বহু কবি, সাহিত্যিকের ভাস্কর্য আছে। তখন তো কেউ কিছু বলেননি।’

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে এ প্রশ্ন (ভাস্কর্য নিয়ে) তোলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। কারণ, যারা এ প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করছেন, তাদের সঙ্গে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা বিভিন্ন দলের নেতা, তাদের দলগুলো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। সুতরাং তারা যখন বক্তব্য দেয়, তখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বক্তব্য দেয়।’

দেশে অরাজকতা তৈরির অপচেষ্টা থেকেই ভাস্কর্য নিয়ে গুজব ও বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তথ‌্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে অপচেষ্টা ছিল মানুষের মাঝে অহেতুক ভয় সঞ্চারের। তাদের অপচেষ্টা ছিল গুজব রটানোর, অপচেষ্টা ছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করার। মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলোর কারণে গুজব খুব বেশি কাজে লাগেনি। সর্বশেষ ভাস্কর্য নিয়ে অহেতুক একটি বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

‘ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজরা আসার পর অনেকে ফতোয়া দিয়েছিলেন—ইংরেজি শিক্ষা হারাম। ইংরেজি না শেখার কারণে মুসলমানরা প্রথমদিকে পিছিয়ে পড়েছিল। তারপর বলল, টেলিভিশন দেখা হারাম। যখন ছবি তুলে হজে যাওয়ার নিয়ম চালু হলো—তখন বলা হলো যে, ছবি তুলে হজে গেলে সেই হজ হবে না। এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে,’ বলেন তথ‌্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘোষণা দেওয়া হলো, ফতোয়া দেওয়া হলো যে, যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তারা সবাই কাফের। আজকে যারা এই ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা ওই ফতোয়াবাজদের প্রেতাত্মা।’

দেশ অস্থিতিশীল করা পাঁয়তারা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে কঠোর হাতে দমনের কথা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম শাহজাদা, সিডনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদসহ সাংবাদিক নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়