ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এরফান সেলিম 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৭ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৯:২৩, ২৭ অক্টোবর ২০২০
মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এরফান সেলিম 

গ্রেপ্তারের সময় পুরান ঢাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিম মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি র‌্যাব কর্মকর্তাদের দেখে তাদের উদ্দেশে বলেন ‘হু আর ইউ, এমআই ক্রিমিনাল? অ্যারেস্ট মি?

ইত্যাদি নানা বাক্য বলছিলেন। এ সময় কর্মকর্তারা তাকে ধমক দিয়ে শান্ত থাকার কথা বলেন বলে অভিযানে থাকা এক কর্মকর্তা জানান। অভিযানে থাকা ওই কর্মকর্তা আরো জানান, যখন অভিযান শুরু হয় তখন চকবাজার দেবদাস লেনের দাদার বাড়ির চারতলায় ছিলেন এরফান সেলিম। সেখানে তিনি মদ পান করছিলেন। বাসার দারোয়ানকে গিয়ে এসময় র‌্যাব-পুলিশের কথা বললে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। একসময় র‌্যাব কর্মকর্তাদের তিনি বসতেও বলেন।

সোমবার (২৬ অক্টোবর)   রাতে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, যাচাই-বাছাই চলছে। এর পর গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। সেখানে অস্ত্রের সঙ্গে মদ, ইয়াবা পাওয়া গেছে।

র‌্যাব জানতে পেরেছে, নিজস্ব ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করে পুরান ঢাকার সব ধরনের তথ্য ওয়াকিটকির মাধ্যমে সংগ্রহ করতেন সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে এরফান। এজন্য তিনি নিজস্ব নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। এই নেটওয়ার্ক দিয়েই তিনি পুরান ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের জড়ো করা থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ডিভাইস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও ট্রাকিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অথচ এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করতে হলে সরকারের যথাযথ অনুমোদন নিতে হয়। যা এরফান করেননি।

এর আগে সোমবার (২৬ অক্টোবর)   দুপুরে এরফান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে চকবাজারের দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলে র‌্যাব। বাড়ির ভেতরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ওই বাড়ির ভেতর থেকে ৩৮টি ওয়াকিটকি, অস্ত্র, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এরফান ও সহযোগী জাহিদুল ইসলামকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

ঢাকা/মাকসুদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়