ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘রেলে ভোগান্তি কমেছে’

জিসান তাসফিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২২ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘রেলে ভোগান্তি কমেছে’

একসময় রেল ভ্রমণে টিকেট পাওয়া খুব দুষ্কর ছিল। বর্তমানে ই-সেবা চালু হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে। রেলসেবা আধুনিকায়নের ফলে টিকেটের জন্য এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। গত ১৬ আগস্ট থেকে রেলভ্রমণে যুক্ত হয়েছিলো নতুন পদ্ধতি ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার।’ এতে দালালদের কালোবাজারির ছোবল থেকে মুক্ত হয়েছে সাধারণ যাত্রীরা। যদিও এ নিয়ম থেকে কিছুটা সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। ২০১১ সালে তা পৃথক করে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। পরবর্তীতে রেল সেবায় যুক্ত হতে থাকে আধুনিক পদ্ধতি। বাংলাদেশ সরকার রেলওয়েতে ২০১২ সালের ২৯ মে চালু করে ই-সেবা। যা রেলওয়ে আধুনিকায়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। শুধু টিকেটই নয়, ই-সেবার মাধ্যমে যাত্রীরা ঘরে বসেই পাচ্ছে রেল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য।

অনলাইনে টিকেট সংগ্রহে ব্যবহার করতে হবে রেলওয়ের নিজস্ব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট। নিজস্ব পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ ব্যবহার করে একজন যাত্রী এক আইডি কার্ডে পরিবারের সর্বোচ্চ চারজন সদস্যের টিকেট সংগ্রহ ও ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবে।

রেল পথের যাত্রা শুরু ব্রিটিশ আমল থেকে। এই উপমহাদেশে ১৮৪৯ সালে রেল পথের যাত্রা শুরু হয়। ব্রিটিশ সরকার ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ জুড়ে রেলপথ স্থাপন করে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রেলপথ আসার অন্যতম রাজনৈতিক কারণ ছিল বার্মার (বর্তমানে মায়ানমার) সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৬২ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন কুষ্টিয়ার জগতি রেলওয়ে স্টেশন। এরপর ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে রেলপথ চালু হয়। রেলওয়ে বরাবরই সরকারি প্রতিষ্ঠান। কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়।

রেলওয়েতে সরকার প্রদত্ত কোনো নিয়মকানুন ভঙ্গ করা আইনত অপরাধ। যা ফৌজদারি আইনের অন্তর্গত। তবে ক্ষেত্র বিশেষ দেওয়ানি আইন হিসেবে কার্যকর হয়। রেলওয়ে আইন পরিচালিত হয় রেলওয়ে আইন ১৮৯০-এর মাধ্যমে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে রেলওয়ে পুলিশ।

বর্তমানে সংযুক্ত নতুন পদ্ধতিতে অন্যের টিকেটে কোনো ব্যক্তি ভ্রমণ করলে জালিয়াতি ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। আইনত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রেলওয়ে বিভাগের জন্য সরকার প্রদত্ত নিয়ম ও আধুনিক প্রযুক্তিগত সেবা গ্রহণ করা সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।

লেখক: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা/ মাহফুজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়