ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শতাধিক কৃষকের জমিতে ধানের শীষ আসেনি

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৩, ১ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৮:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

হবিগঞ্জের সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ আমন ধানের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। 

তিনি মৌসুমের শুরুতে নিজের প্রায় দেড় বিঘা জমিতে পাইনিয়ার সিডের উচ্চ ফলনশীল ব্রি আর-২২ জাতের বীজ রোপণ করেন। এখন তার আশপাশের জমিতে আমন ধান পাকা শুরু হয়েছে। কিন্তু মজিদের জমির বেশিরভাগ ধানগাছে শীষ আসেনি। কিছু কিছু আসলেও এগুলো অপুষ্ট। 

সরেজমিন গেলে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ হাসপাতাল সড়কের রুদ্ধ ট্রেডার্স থেকে ১০ কেজি প্যাকেটের উচ্চ ফলনশীল ব্রি আর-২২ জাতের বীজ কেনেন ৯৫০ টাকায়। তার মতো শতাধিক কৃষক এ জাতের বীজ কেনেন। অধিক ফলনের আশায় এই বীজ কিনে তারা হতাশ হয়েছেন। সরার জমিতে একই অবস্থা। 

আব্দুল মজিদ জানান, দেড় বিঘা জমিতে এ জাতের ধান চাষ করতে তার প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পূর্বের আমন মৌসুমে একই জমিতে প্রায় ৩২ মণ ধান পেয়েছিলেন। এবার এক কেজিও ফলন হবে না। 

একই কথা জানান কৃষক তাহির মিয়া, মহিদ মিয়া, মো. শাহীন মিয়া, মো. সাদেক মিয়া, আব্দুল আহাদসহ অন্যান্য কৃষক।  

কৃষক আব্দুল আলী মাস্টার বলেন, পূর্বের আমন মৌসুমে দেড় বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩৫ মণ পান তিনি। এ মৌসুমে একই জমি থেকে কোনো ধান পাবেন না। তাই কাঁচা ধানগাছ কেটে গরুকে খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।

রুদ্ধ ট্রেডার্সের ম্যানেজার বিপ্লব দাশ বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। কোনো অভিযোগ থাকলে দোকান মালিকের কাছে দিতে হবে। আর বীজ কোম্পানির লোকের মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। তাই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। 

মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি ৩ স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। লিখিতভাবে এ ধরণের অভিযোগ পাননি। তারপরও কয়েক দিনের মধ্যে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। 
 

/বকুল/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়