ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে আসতে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের রোড শো অনুষ্ঠিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ২৪ অক্টোবর ২০২১  
শেয়ারবাজারে আসতে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের রোড শো অনুষ্ঠিত

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও)‌ মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে রোড শো আয়োজন করেছে কোম্পানিটি।

রোড শোতে উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের চেয়ারম্যান মিসেস তাহমিনা বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মাকসুদ আহমেদ, পরিচালক সাদিয়া আহমেদ, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকরা, কোম্পানি সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ইস্যু ম্যানেজার, রেজিষ্টার অফ ইস্যু, আন্ডারওয়াটার, মার্চেন্ট ব্যাংক, ফান্ড ম্যানেজার, বন্ড ম্যানেজার, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, ডিএসই-সিএসই ট্রেকহোল্ডার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ বলেন, সফলভাবে আইপিও সম্পূর্ণের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ক্ষমতা এবং মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে পারবো। প্রোজেক্টেড ফিনেনসিয়াল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ২০২৫ এ আমাদের সেলস রেভিনিউ হবে ২৮৭.৬৩ কোটি, করের পর নিট মুনাফা দাঁড়াবে ৭৩.৯২ কোটি টাকা এবং উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হবে বছরে ২.৮৭ কোটি পিস। অর্থাৎ সেলস রেভিনিউ বর্তমান সেলস রেভিনিউ থেকে ৯৮% বাড়বে এবং পরিশোধের সময়কাল হবে ২.৫ বছর। আমরা বাংলাদেশের মার্কেটের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও তখন রপ্তানি করতে পারবো। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লি: এ বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময় এবং আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের সঠিক রিটার্ন দিতে সক্ষম হব এবং পুঁজিবাজারে আমাদের পরবর্তী মাইলফলক শুরু করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, দেশে মার্কেট শেয়ার অর্জনের জন্য এবং বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে পরিণত করতে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ বুক বিল্ডিং মেথডের মাধ্যমে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ৯৫ কোটি টাকার জন্য আইপিওতে অংশগ্রহণ করছে। আইপিওতে ব্যয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি বাকি টাকা দিয়ে নতুন ফ্যাক্টরি বিল্ডিং স্থাপন, ক্যাপিটাল ম্যাশিনারিজ এবং ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক বছরে লোকাল ওষুধ কোম্পানিগুলো গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। যার ফলে বাজারের ৯০ শতাংশ ওষুধ লোকাল কোম্পানিগুলোর দখলে রয়েছে। সাম্প্রতিককালে ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটের বেশ ভালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ৬ বিলিয়ন ডলারের মার্কেটে পরিণত হবে, যা ২০১৯ থেকে ১১৪ শতাংশ গ্রোথ থাকবে। যেহেতু এশিয়াটিকের তার গুণগত মানের কারণে ডাক্তারের কাছে সুনাম রয়েছে, তাই আমাদের একটি বিশাল সুযোগ রয়েছে একটি এন্টি ক্যান্সার প্ল্যান্ট স্থাপন করার, যা শুধু দেশেই সরবরাহ নয় বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিওতে আসার নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পলিচালকসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ কোম্পানি আইন ১৯১৩ এর অধীনে ১৯৭০ সালের ২৫ জুলাই প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে তা ২০২০ সালের ১২ মার্চ প্রাইভেট থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর সময় প্রতিষ্ঠানটি এন্টিসেপটিক সলিউশন বাজারজাত করে এবং জীবন রক্ষাকারী কিছু ওষুধ সরকারিভাবে সরবরাহ করে।

এনটি/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়