ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘সাকিব ব্যাটিং ফর্মের চূড়ায় আছে’

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০০, ২১ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৪:৩৮, ২১ জানুয়ারি ২০২৩
‘সাকিব ব্যাটিং ফর্মের চূড়ায় আছে’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সাকিব আল হাসানে দেখা যাচ্ছে বিধ্বংসী রূপে। যখন যেভাবে চাইছেন সেভাবেই বোলারদের তুলোধুনো করছেন। ফরচুন বরিশালের অধিনায়কের এমন রূপ দেখে কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেই দিলেন, ব্যাটিংয়ের সেরা সময় কাটাচ্ছেন সাকিব।

দেশের ক্রিকেটে সাকিব-মুশফিকদের গুরু হিসেবে পরিচিত ফাহিম। সাকিবকে তার চেয়ে বেশি জানারও কথা না অন্য কারও। ব্যাট হাতে রান না পেলেই ছুটটেন ফাহিমের কাছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের কথা স্মরণ করে ফাহিম এমন মন্তব্য করলেন।

‘সাকিব খুবই স্মার্ট। ও সবসময়ই খুঁজতে থাকে, কোথায় গেলে আরেকটু ভালো হওয়া যায়। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, আমি ওর ব্যাটিং যতদিন দেখছি, ও বোধহয় নিজের ব্যাটিংয়ের চূড়ায় আছে। (২০১৯) বিশ্বকাপের কথা স্মরণ রেখেই আমি বলছি। ও এত সহজে ব্যাটিং করছে, সেটা ভাবাই যায় না’-এভাবেই বলেছেন ফাহিম।

এবারের বিপিএলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সাকিব রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে আছেন। ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে রান ২৭৫। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস (৮৯*) খেলেন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। তাও আবার ঠিকঠাক অনুশীলন না করেই!

সাকিবের বিপিএলে স্ট্রাইকরেট ১৯৬.৪২। তাতেই বোঝা যাচ্ছে সাকিব বিপিএলে কতটা বিধ্বংসীরূপে খেলছেন। ২৬৯ রান নিয়ে সাকিবের পরে থাকা নাসিরের স্ট্রাইকরেট ১৩১.২১। সাকিবের কাছাকাছি স্ট্রাইকরেট তার দলেরই পাকিস্তানি সতীর্থ ইফতেখার আহমেদের (১৮১.৫৬)।

ফাহিম বলেন, ‘সাকিব খুব ভালো খেলছে। আমরা যদি ইফতিখারের খেলাটা লক্ষ্য করি, সে কিন্তু ওই জায়গাটায় এসে ধীরগতিতে খেলে, নিজেকে গোছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সাকিবকে মনে হয়, এসেই সেট হয়ে গেছে। ভালো রান রেট ধরে রাখতে পারে। সেটা আমাদের দলকে চাপমুক্ত রাখে সবসময়। গত কয়েক ম্যাচে সেটিই হয়েছে।’

সাকিব এবারের আসরে চার হাঁকিয়েছেন ৩০টি আর ছয় ১৫টি। সর্বোচ্চ ১৮টি ছয় ইফতেখারের। ১০টির বেশি ছয় এখন পর্যন্ত আর কোনো ব্যাটসম্যান মারতে পারেননি। 

ফাহিম বলেন, ‘ও এত স্মার্ট এবং এত অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে বদলে ফেলতে পারে, সেটা অবাক করার মতো। ও যে এখন নির্দিষ্ট কিছু শট খেলছে, তা নয়, সারা মাঠ ঘিরে শট খেলছে এবং নিচে খেলছে। ওর শরীরী ভাষার মধ্যে যে কমফোর্ট আছে, ওকে কখনও মনে হয় না চাপে আছে। ও যখন থাকে, রান কখনও থেমে থাকে না।’

‘আরেকটা ব্যাপার হয়েছে, ও এখন জানে যে, দু-তিনটি ডট বল হলেও, হঠাৎ করে চার বা ছয় দরকার হলে তা মেরে দিতে পারে। এটা যে কোনো ব্যাটসম্যানকে স্বস্তি দেয়। এটা থাকলে যে কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলার চিন্তা করতে পারে। আগে কয়েকটি ডট বল খেললে পরে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যেত। এখন সেটা হচ্ছে না। কাজেই চাপটা অনুভব করে না। ওর শরীরী ভাষা দেখেই মনে হয়, খুব স্বস্তিতে খেলছে। নিজের ওপর বিশ্বাসটা অনেক বেশি’-আরও যোগ করেন ফাহিম। 

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়