ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছি’

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ০৯:৪৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
‘সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছি’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে মন্দাভাব চলছে তার প্রভাব আমাদের বাণিজ্যেও পড়েছে। এ সময় সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বেশ কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছি।

তিনি জানান, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কাস্টমস থেকে রাজস্ব এসেছে ৪৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যার প্রবৃদ্ধির হার ৯.২৫ শতাংশ। আগের চেয়ে রাজস্ব আহরণ কিছুটা কমলেও বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি যেতে পারব বলে আশা করছি।

আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস। বিশ্বের ১৮৩ টি দেশের কাস্টমস বিভাগের সাথে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করবে। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন: কাস্টমসে জ্ঞানচর্চা ও উত্তম পেশাদারিত্বের বিকাশ’। 

সংবাদ সম্মেলনে ডলার সাশ্রয়ে এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ডলার সাশ্রয়ে অপ্রয়োজনীয় বিলাশবহুল পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য কাস্টম ডিউটি বাড়িয়েছি। ডিউটি বাড়ানো ছাড়া তো ডলার সাশ্রয়ে আমাদের তরফ থেকে কিছু করার নেই। আমরা আমদানি বন্ধ করতে পারবো না, ডিউটি বাড়িয়ে তাদের নিরুৎসাহিত করছি।

তিনি আরও বলেন, শুল্কহার কমানো-বাড়ানো ট্যারিফ কমিশন বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না। শুল্কহার কমানো-বাড়ানো এনবিআরের কাজ। যখন অন্য কোনো মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসে তখন তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে। আর এনবিআর যখন বিবেচনা করে তখন সার্বিক দিক বিবেচনা করে। শুধু শুল্কহার কমানো-বাড়ানোর এঙ্গ ডলার সাশ্রয়ের সম্পর্ক নয়। এর সঙ্গে উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয় কিনা, চোরাচালানের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় কিনা এসব বিষয়গুলোও আমাদের দেখতে হয়। এসব বিবেচনায় যেসব পণ্যের শুল্কহার বাড়ানো দরকার সেগুলো আমরা বাড়াই, প্রয়োজনে আরও বাড়াবো। অনেক জিনিস অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে, কিন্তু দেখা যাবে সেগুলো আরেকটি পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

গ্যাসের দরবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এনবিআর ট্যারিফ কমাতে পারতো কিনা এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, শুধু গ্যাসের দাম না, অন্যান্য সবক্ষেত্রে সবাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখে ট্যাক্স, কাস্টমস ডিউটি।  অথচ দাম দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেগুলো দেখা দরকার। কিন্তু যখনই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়-সবাই মনে করে ট্যাক্স, ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি কমালেই দ্রব্যমূল্য কমে যাবে।

নাজমুল/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়