ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সৌম্য-সাইফের ফিফটির দিনে উজ্জ্বল তাসকিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৬, ২ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৬:৪৯, ৩ অক্টোবর ২০২০
সৌম্য-সাইফের ফিফটির দিনে উজ্জ্বল তাসকিন

আর একটা দিন হলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের ম্যাচবিহীন ২০০ দিন পূর্ণ হতো। কিন্তু সেটি হতে দিলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রিকেটাররা। ১৯৯ দিন পর আবার মাঠে নামলো টাইগাররা। সর্বশেষ মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ খেলেছিল ক্রিকেটাররা।

মাঠের ক্রিকেটে ফেরার দিনে সবচেয়ে উজ্জ্বল তাসকিন আহমেদ। লকডাউনের মধ্যে তাসকিনের পরিশ্রম নিয়ে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠে প্রশংসা ঝরেছিল। নেট অনুশীলনেও দুরন্ত, দুর্দান্ত তাসকিনের রূপ দেখা গেছিলো। আজ ক্রিকেটারদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেও সব আলো কেড়ে নিয়েছেন এই পেসার। তবে এদিন ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের কথা জানান দিয়েছেন সৌম্য সরকার এবং সাইফ হাসানও।

মিরপুরে আজ ক্রিকেটাররা রায়ান কুক একাদশ এবং ওটিস গিবসন একাদশ এই দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলতে নেমেছিল। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে আগে ব্যাট করে ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে গিবসন একাদশ। অথচ দিনের খেলা হয়েছে মাত্র ৬৩ ওভারের মতো।

নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে খেলতে নেমেছিল গিবসন একাদশ এবং কুক একাদশের দায়িত্বে ছিলেন মুমিনুল হক। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শান্তর দলের হয়ে ওপেনিং করেন ইমরুল কায়েস এবং সাইফ হাসান। তবে দুরন্ত তাসকিন বেশ ভুগিয়েছেন তাদের। ইনিংসের প্রথম উইকেটও এই পেসারের শিকার। ইমরুলকে ফিরিয়েছেন মাত্র ৭ রানে। এর আগে অবশ্য তাসকিনের বলে ক্যাচ ধরতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন সাদমান।

এদিকে ইমরুলকে হারিয়ে তিনে নেমে সাইফকে সঙ্গ দিতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তাসকিনে ভুগলেও অন্য দুই পেসার সৈয়দ খালেদ এবং আল আমিনকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন তারা। এই জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। করোনা জয় করা সাইফ ৬৪ রান করে তাইজুলের বলে এলবির শিকার হন।

এরপর অধিনায়ক শান্তও থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪২ রান করে তাসকিনের গতিতে হার মেনে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপরে মাহমুদউল্লাহ এবং সৌম্যের ব্যাটে দুইশ পার করে গিবসন একাদশ। এর মধ্যে সৌম্য ফিফটি হাঁকালেও মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৩৪ রান করে। ডানহাতি এই সিনিয়র ব্যাটসম্যানকেও ফেরান তাসকিন। এই পেসার ম্যাচে ১৭ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট।

তাসকিনের সমান ৩ উইকেট শিকার করেন তাইজুলও। তবে তার বোলিংয়ে ছিলো না তেমন ধার। শেষ দিকে সৌম্য ১০ বাউন্ডারিতে ৫১ করে আউট হয়ে ফিরলে গিবসন একাদশের রানের গতিও থমকে যায়। সৌম্যকে ফিরিয়েছেন প্রথমবারের মতো টেস্টে ডাক পাওয়া সাইফউদ্দীন। গিবসন একাদশ শেষ ৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রানে থেমে যায়।

এরমধ্যে চমক দেখান মোহাম্মদ মিথুন। এই ব্যাটসম্যান পার্ট টাইম স্পিন করতে এসে দুই ওভারের মধ্যে তুলে নেন দুই উইকেট। গিবসন একাদশের ব্যাটিং শেষ হলে আলোকস্বল্পতার কারণে পরে আর মাঠে নামেনি কুক একাদশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওটিস গিবসন একাদশ: ৬৩.৪ ওভারে ২৩০ (সাইফ ৬৪, ইমরুল ৭, শান্ত ৪২, মাহমুদউল্লাহ ৩৪, লিটন ৭, সৌম্য ৫১, মোসাদ্দেক ১৩, নাঈম ২, মুস্তাফিজ ০, ইবাদত ৪, হাসান ০*; তাসকিন ১৭-৪-৪৫-৩, খালেদ ১৩-৩-৫৯-১, আল আমিন ৮-০-১৯-০, তাইজুল ১৭-১-৭০-৩, সাইফ উদ্দিন ৭-১-৩০-১, মিঠুন ১.৪-০-৫-২)।

ঢাকা/কামরুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়