ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘স্বাধীনতার স্মৃতিচিহ্ন মুছে শিশু পার্ক তৈরির সময় বুদ্ধিজীবীরা চুপ ছিলেন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ৮ মে ২০২১   আপডেট: ২১:৫৬, ৮ মে ২০২১
‘স্বাধীনতার স্মৃতিচিহ্ন মুছে শিশু পার্ক তৈরির সময় বুদ্ধিজীবীরা চুপ ছিলেন’

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, এ তথ‌্য জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ‌্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘যখন জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক তৈরি করে স্বাধীনতার স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলল, তখন কিন্তু পরিবেশবাদী বা বুদ্ধিজীবীরা বিরোধিতা করে নাই। এটি দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ‌্যজনক।’

শনিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মচারী ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মচারীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, সে জায়গা এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্যারেন্ডার অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিল, সে জায়গা কারা নষ্ট করে দিয়েছিল? বন্দুকের নল দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সাহেবই তো সেদিন ওই শিশু পার্ক করার মধ্য দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে সেই স্মৃতি তুলে ধরার জন্যই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই বিশাল প্রকল্পে জলাধার আছে, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ যে জায়গায় যে মঞ্চ থেকে দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যে জায়গায় স্যারেন্ডার হয়েছে, সেই স্থানটিকে সংরক্ষণ করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ছোট্ট শিশু ঢুকলে সে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে।’

দুস্থ মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আসুন, সমস্ত ধনিক শ্রেণীর মানুষেরা, অর্থশালী মানুষেরা মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আপনার যাকাত দিয়ে দুস্থ-গরিব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষ তো মানুষের তরে। মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’

আওয়ামী লী‌গের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমুতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল জলিল ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী।

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়