ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস প্রতিরোধে ‘তুরাগ প্রোটেক্স’ মাস্ক

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২১:৩১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস প্রতিরোধে ‘তুরাগ প্রোটেক্স’ মাস্ক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সাধারণ জনগণের জন্য কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং না পরলে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বাজারে উর্মি গ্রুপ নিয়ে এসেছে সুইস প্রযুক্তি (হাইকিউ ভাইরোব্লক) প্রয়োগকৃত তিন স্তর বিশিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক ‘তুরাগ প্রোটেক্স’। এই মাস্ক ভাইরাস ধ্বংস করতে ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকর, যা নিরপেক্ষ সংস্থা দ্বারা আইএসও ১৮১৮৪:২০১৯ নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষিত ও প্রমাণিত বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

রিওয়াশেবল ফেব্রিক দিয়ে তৈরি হওয়ায় মাস্কটি বার বার ধুয়ে ২৫ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া মাস্কটি খুবই নরম হওয়ায় দীর্ঘ সময় ব্যবহারেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে। পুরুষ ও মহিলাদের ব্যবহারের জন্য তুরাগ প্রোটেক্স অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক বিভিন্ন রঙে বাজারে এসেছে। খুব শিগগির বাচ্চাদের জন্যও এই মাস্ক পাওয়া যাবে।

অ্যান্টি-ভাইরাল মাস্কটি কাপড়ের তিনটি স্তর দিয়ে তৈরি; যার ভিতরের স্তরটি শোষণক্ষমতা সম্পন্ন। মাঝারি স্তরটি হাইকিউ ভাইরোব্লক এনপিজেওথ্রি প্রয়োগকৃত যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মাস্কের মাঝের স্তরের জন্য ব্যবহৃত উপাদানগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যে ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস নিস্ক্রিয় করতে পারে। সর্বশেষ বাইরের স্তরটি পানিরোধক বিশেষ কাপড় দ্বারা তৈরি যা হাঁচি কাশি থেকে নির্গত ক্ষুদ্র জলকণা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। কাপড়ের এ প্রযুক্তিটি প্রতিবিম্ব চার্জযুক্ত হওয়ায় ভাইরাসগুলোকে আকর্ষণ করে যার সিলভার সালফাইড কাপড়ের সংস্পর্শে আসা সমস্ত ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। 

এই মাস্কে নাকের ওপর একটা নোজ ব্রিজ থাকায় এবং কানে সামঞ্জস্যযোগ্য স্ট্রিং থাকায় মাস্কটি পড়ার পর মুখের সঙ্গে ভালোমতো আটকে থাকায় বাইরের জীবাণু বা ধুলাবালি প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া নোজ ব্রিজ থাকার ফলে যারা চশমা পরেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করলে চশমা ঘোলা হয়ে যাবার যে সমস্যা সেটি আর হবে না।

এ বিষয়ে উর্মি গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ জানান, ‘বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কর্তৃক প্রণীত হাই পারফরম্যান্স মাস্ক এর নীতিমালা অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত বাংলাদেশের প্রথম হাই পারফরম্যান্স (অধিক কার্যক্ষমতা সম্পন্ন) মাস্ক হিসেবে আমরা বাজারে নিয়ে এসেছি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক ‘তুরাগ প্রোটেক্স।’

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়