ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাক ডাকা ব্যক্তিদের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি: গবেষণা

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২১:৫১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
নাক ডাকা ব্যক্তিদের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি: গবেষণা

অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যাসহ আরো বেশ কিছু কারণে কোভিড-১৯ রোগে নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। আর এবার নতুন একটি গবেষণা বলা হয়েছে, নাক ডাকার সমস্যাও কোভিড -১৯ রোগে আপনার মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, স্লিপ অ্যাপনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুঝুঁকি তিনগুণ বেশি হতে পারে। 

‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ অনেকের জন্য ভয়াবহ একটি অভিজ্ঞতা। এ সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরা ঘুমের মধ্যে জোরে নাক ডাকেন বেশি, তাদের নিশ্বাস অনেক উঁচু শব্দযুক্ত হতে পারে এবং অনেক সময় নিশ্বাস না নিতে পারার কারণে ঘুমের মধ্যে তাদের শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। কিংবা হঠাৎ তাদের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা হাসফাস করতে থাকেন।

ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং করোনাভাইরাসের মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র বিষয়ক ১৮টি গবেষণা পর্যালোচনা করেছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আইসিইউতে থাকা অনেক করোনা রোগীর স্লিপ অ্যাপনিয়া ছিল এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত ছিল।

এমনকি ডায়াবেটিস আক্রান্ত করোনা রোগীদের নিয়ে একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, স্লিপ অ্যাপনিয়া আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সপ্তম দিনে মৃত্যুঝুঁকি ২.৮ গুণ বেশি ছিল।

উদ্বেগের ব্যাপার হলো, গবেষকদের বিশ্বাস ৮৫ শতাংশ রোগীর স্লিপ অ্যাপনিয়া সমস্যা অনির্ণীত ছিল। গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ডা. মিশেল মিলার বলেন, ‘যেহেতু এই সমস্যাটি ব্যাপকভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি, তাই আমরা জানি না যে স্লিপ অ্যাপনিয়া কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকির কিনা। কোভিড-১৯ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা স্লিপ অ্যাপনিয়া আক্রান্তদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’  

গবেষকদের প্রত্যাশা, এই গবেষণার ফল স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে সতর্কতা মেনে চলতে উৎসাহিত করবে।

ডা. মিলারের মতে, ‘এ ধরনের রোগীদের অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। কেননা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হলে তাদের অতিরিক্ত ঝুঁকি হিসেবে কাজ করবে স্লিপ অ্যাপনিয়া। এজন্য এ রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা থেকে বেঁচে চলতে হবে। যেমন ফেস মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করানো।’

তিনি আরো বলেন, ‘চিকিৎসকদেরও তাদের রোগীদের সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ স্লিপ অ্যাপনিয়া কিনা তা মূল্যয়ন করা উচিত। পাশাপাশি এসব তথ্য কোভিড-১৯ রোগের গবেষণা এবং রেজাল্টের ডেটায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। করোনায় স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে বেশি ‍উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরও ডেটা প্রয়োজন।’

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়