ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নিউইয়র্কে ইমিগ্রেশন পুলিশ বিলুপ্তির দাবিতে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৮৬

ছাবেদ সাথী, নিউইয়র্ক প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০  
নিউইয়র্কে ইমিগ্রেশন পুলিশ বিলুপ্তির দাবিতে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৮৬

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস অ‌্যানফোর্সমেন্ট (আইস) পুলিশের বাড়াবাড়ি বন্ধসহ এ বিভাগ বিলুপ্তির দাবিতে ম্যানহাটনে নিউইয়র্ক পুলিশের বিভাগের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ নাগরিক। 

১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক নগরের টাইমস স্কয়ারে পুলিশের বিভাগের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন সময় অন্তত ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

জানা গেছে, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এক নারী অভিবাসীকে আটকের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। কয়েকটি ভিডিওর দৃশ্যে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করছে। রাস্তায় বেশকিছু বিক্ষোভকারী বসেছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। একজন বিক্ষোভকারী চিৎকার করে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের সমস্যাটা কোথায়। তারা তো বসে আছে। তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

এনওয়াইপিডি সতর্কতা জারি করে এক বার্তায় বলেছে, ‘বিক্ষোভকারীরা বেআইনিভাবে সড়কে অবস্থান নেয় এবং যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।’ 

পুলিশ সূত্র জানায়, ওয়ান পুলিশ প্লাজার কাছে পার্ল ও ম্যাডিসন স্ট্রিট থেকে বিক্ষোভকারীদের দ্বিতীয় গ্রুপটি অবস্থান নিয়েছিল। সেখান থেকেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই জায়গায় আইসবিরোধী বিক্ষোভ থেকে মোট ৪১ জন পুরুষ ও ৪৫ জন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কর্মকাণ্ড ও গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসের কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে নানা বিতর্ক উঠেছে। ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকার সবচেয়ে সক্রিয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পরিণত হয়েছে এই সংস্থাটি। প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিতে একমাত্র আইস-ই আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সংস্থাটির অভিযান ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেটা সোটো মোরেনো নামের এক আশ্রয়প্রার্থী অভিযোগে বলেছেন, ‘আইসের কারাগার ও আটক কেন্দ্রগুলোর অবস্থা সাধারণ কারাগারের চেয়ে ভয়াবহ। তারা মনে করে অভিবাসী কিংবা শরণার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করাই যায়। এরচেয়ে উন্নত পরিবেশ তাদের প্রাপ্য নয়। আর এটাকেই আইস বলে জিরো টলারেন্স নীতি।’

ছাবেদ সাথী/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়