ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বেঁধে দেওয়া চালের দাম ‘কেতাবে আছে, বাজারে নেই’ 

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১০, ৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৮:১৪, ৪ অক্টোবর ২০২০
বেঁধে দেওয়া চালের দাম ‘কেতাবে আছে, বাজারে নেই’ 

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চাল বিক্রি করছেন না ব‌্যবসায়ীরা।  তারা কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা অতিরিক্ত দাম রাখছেন। ক্রেতারা বলছেন,  সরকারের ‘বেঁধে দেওয়া দাম কেতাবে আছে, বাজারে নেই’। তাদের অভিযোগ—‘অসাধু ব্যবসায়ীরা’ দাম বাড়িয়ে ফায়দা নিচ্ছেন। 

এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রতি কেজি মিনিকেট চালের (মিলগেট মূল্য) দাম সাড়ে ৫১ টাকা  ও মাঝারি চাল প্রতি কেজির ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। 

শুক্রবার ও শনিবার সরেজমিনে রাজধানীর কোথাও নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি করতে দেখা যায়নি।  

যাত্রাবাড়ী চাল বাজারের ক্রেতা আতিক হাসান বলেন, ‘কথায় কথায়  কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে ফায়দা নিচ্ছেন।  সরকারের নির্দেশনা তারা মানছেন না। এমন পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো উচিত।’

জানতে চাইলে যাত্রবাড়ীর পাইকারী চাল বিক্রেতা সজিব রাইস এজেন্সির প্রোপাইটার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগে পাইজামের দর ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা ছিল।  এখন ৪৭ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  মিনিকেটে দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫৮  টাকায়।  বিআর আটাশের দাম ছিল ৪১ থেকে ৪৩ টাকা।  এখন বিক্রি হচ্ছে  ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায়। ’

এই ব‌্যবসায়ী আরও বলেন, ‘উৎসব, রশিদ, মোজাম্মেল ও বিশ্বাসসহ অন্যান্য নামি ব্র্যান্ডের মিনিকেটের ৫০ কেজির বস্তা ২৩৫০-২৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪৫০-২৭৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর নাজিরশাইলের দাম দাঁড়িয়েছে ২৪৭৫-২৬০০ টাকা থেকে ২৬৫০-২৮৫০ টাকায়।’  

অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রির কথা স্বীকার করেন রায়েরবাগের খুচরা চাল বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর সরকার চালের দাম নির্ধারণ করলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।  বাড়তি দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।’    

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, ‘বাজারে ধানের সরবরাহ কম থাকায় একটু দাম বেড়েছিল। গত মঙ্গলবার থেকেই সরকারি দামে চাল বিক্রি শুরু করেছি। কিন্তু চালের অর্ডার খুব কম। আগে মজুদ করা চাল আড়ৎদাররা বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।’ 

এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে মিল গেটে চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিচ্ছি। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখায় দুই জেলায় কয়েকজন মিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

খাদ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এই বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে।  কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ধান-চাল মজুদ করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।’ দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

 ঢাকা/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়