ছুটির দিনে হাইকোর্ট: ২ বোনের বাসায় প্রবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশ

সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাতিজি মুশফিকা ও মোবাশ্বেরাকে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশানের বাসায় অনতিবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ‌্যায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আজ ছুটির দিন থাকলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে সন্ধ‌্যায় সাড়ে ৭টার দিকে আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত আজ রাতেই ওই বাড়িতে তাদের প্রবেশ ও অবস্থান নিশ্চিত করার পর গুলশান থানার ওসিকে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারকে টেলিফোন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এছাড়া, ১ নভেম্বর পর্যন্ত ওই বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ১ নভেম্বর গুলশান থানার ওসি, মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা এবং ওই বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর এর মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পাইলট ছিলেন। তার ভাই-বোনদের মধ্যে সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুই দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ১৯৮৪ সালে তার বাবা-মা গুলশানের ওই বাসায় সংসার শুরু করেছিলেন। দুই বোনের জন্মও এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামের এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেন তাদের বাবা। আঞ্জু কাপুর এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন।