ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাজপথে নেই, অনলাইনে সক্রিয় ১৪ দলীয় জোট 

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ২০:০১, ১৫ নভেম্বর ২০২০
রাজপথে নেই, অনলাইনে সক্রিয় ১৪ দলীয় জোট 

সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে সক্রিয় হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি নেই। তবে, যেকোনো ইস্যুতে ভার্চুয়াল বৈঠক করে অভিমত জানাচ্ছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।

১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠের রাজনীতিতে না থাকলেও দিবস-ইস্যুভিত্তিক বৈঠক-সিদ্ধান্ত-বিবৃতি দিচ্ছেন তারা। তবে, জোটের নতুন মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এখনই মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে রাজি নন। করোনার সময় তিনি জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে ও সিদ্ধান্ত নিতে ভার্চুয়ালি সভা করছেন।   

জোটের একজন নেতার মতে, ‘মোহাম্মদ নাসিম জোটভুক্ত সব দলকেই নিজের দলের মতো দেখতেন। আগলে রাখতেন। কর্মসূচি নির্ধারণ করে দিতেন। এমনকী জোটের মুখপাত্র হিসেবে সরকারের বিভিন্ন ভুলও ধরিয়ে দিতেন। গঠনমুলক সমালোচনা করতেন।’

প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ নাসিম চলতি বছরের ১৩ জুন মৃত‌্যুবরণ করলে ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের পদ শূন্য হয়। এরপর  ৮ জুলাই জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।

জোটের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, কিছুদিন আগেই জোটের নতুন মুখপাত্র এসেছেন। তাকে সময় দিতে হবে। এছাড়া, এখন করোনার কারণে দৃশ্যমান কোনো কর্মকাণ্ড সম্ভব হচ্ছে না। এই নেতাদের প্রত‌্যাশা, শিগগিরই ১৪ দলীয় জোট আগের মতো রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। 

জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি-কর্মকাণ্ডে আমরা না থাকলেও বৈঠক হচ্ছে। মতবিনিময় হচ্ছে। করোনায় মাঠের রাজনীতিতে ১৪ দলীয় জোট না থাকলেও সমসাময়িক যেকোনো বিষয়ে বৈঠক করছি, সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

একই কথা বললেন আরেক শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর একটা ধাক্কা লেগেছে ১৪ দলীয় জোটে। করোনা তো আছেই। সবমিলিয়ে একটু হলেও গতি হারিয়েছে জোট। আশা করি, শিগগিরই  মাঠের কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো।’

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘যেকোনো ইস্যুতে অনলাইনে বৈঠক করছি। সেখানে সব ধরনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তবে, আগের মতো মাঠের রাজনীতিতে নেই একথা সত্য। কিন্তু কর্মসূচি আছে। করোনার সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবো। জোটের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমানও হবে।’  

উল্লেখ‌্য, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটটি নামে ১৪ দলীয় জোট হলেও বর্তমানে রয়েছে ১২ দল।  দলগুলো হলো—আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ন্যাপ মোজাফফর, গণতন্ত্রী পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, বাসদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, ওয়াকার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও  গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি। 

ঢাকা/পারভেজ/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়