ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনা পরবর্তী ব্যাংকিং খাত হবে চ্যালেঞ্জিং: ফারুক মঈনউদ্দীন

মেসবাহ য়াযাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২৪ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১০:১৬, ২৪ নভেম্বর ২০২০
করোনা পরবর্তী ব্যাংকিং খাত হবে চ্যালেঞ্জিং: ফারুক মঈনউদ্দীন

ফারুক মঈনউদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ট্রাস্ট ব্যাংক

ফারুক মঈনউদ্দীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে ১৯৮৪ সালে শিক্ষানবিশ অফিসার হিসেবে এবি ব্যাংকে যোগ দেন। ২০০৮ সালে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং পরে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।সিটি ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি একজন সাহিত্যিক। তার প্রথম গল্প ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়। আর প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাতি হয় ১৯৯০ সালে। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২২। এর মধ্যে রয়েছে ৪টি গল্পগ্রন্থ, ৭টি ভ্রমণকাহিনি, ৫টি অনুবাদ, ব্যাংকিং ও অর্থনীতি বিষয়ক গ্রন্থ ৫টি এবং প্রবন্ধ সংকলন একটি। ভ্রমণসাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অনূদিত ‘অনন্য জীবনানন্দ’ গ্রন্থের জন্য ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ২০১১’ ও ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ভ্রমণগ্রন্থ ‘সুদূরের অদূর দুয়ার’ এর জন্য ‘সিটি-আনন্দআলো পুরস্কার ২০১৯’ লাভ করেন। সম্প্রতি দেশের ব্যাংকিং খাত, অর্থলগ্নীকারক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার, অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং করোনাকালীন সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইজিংবিডির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেসবাহ য়াযাদ।

রাইজিংবিডি: বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত, অর্থলগ্নীকারক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা কী?

ফারুক মঈনউদ্দীন: আপাতদৃষ্টিতে ব্যাংকিং খাতের সার্বিক অবস্থা ভালো মনে হলেও তলিয়ে দেখলে খুব স্বাস্থ্যপ্রদ নয়। গত বছরগুলো থেকে যে বিনিয়োগ খরা শুরু হয়েছিল, সেটি তীব্রতর হয়েছে করোনার অভিঘাতে। এই বছরগুলোতে সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাংলাশের অগ্রগতি ও অর্জন অনেক থাকলেও বিনিয়োগ পরিস্থিতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাড়েনি। সরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও সেগুলো সীমিত রয়েছে বেশকিছু মেগা প্রজেক্টে। সরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি ঘটেনি। বিষয়টা একটা চক্রের মতো। বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ে না, ফলে মজুরিও বাড়ে না। সুতরাং বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগের স্থবিরতার জন্য অবকাঠামোর অপ্রতুলতা, পুঁজিবাজারের অদক্ষতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানাবিধ কারণ দায়ী। বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতিও ২০১৯ সালে আগে বছরের চেয়ে কমে গেছে।

সামগ্রিক এসব উপসর্গের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের জন্য কোনো সুখবর নেই। করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় আগামী দিনগুলো ব্যাংকিং খাতের জন্য হবে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। করোনা পরবর্তী ব্যাংকিং খাত হবে চ্যালেঞ্জিং। সব ধরনের সুদের হারের সীমারেখা দেওয়ার ফলে ভোক্তাঋণ এবং অন্য রিটেইল ব্যবসায় ব্যাংকগুলো আগ্রহী হবে না। কারণ এসব ঋনের আদায় খরচ বেশি। ভোক্তাঋণের প্রবাহ কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আভ্যন্তরীণ শিল্প। বেসরকারি বিনিয়োগে ভাটা পড়ার কারণে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত তারল্য নিয়ে বিপাকে পড়ে আছে। যার অভিঘাত গিয়ে পড়ছে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত আমানতকারীদের ওপর। কারণ ব্যাংকগুলোকে খরচ কমানোর জন্য অন্য পদক্ষেপের সঙ্গে আমানতের ওপর সুদহার কমাতে হবে। এই হার বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে কম।

রাইজিংবিডি: করোনাকালীন এবং করোনা পরবর্তী পুঁজিবাজারের অবস্থা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ-

ফারুক মঈনউদ্দীন: করোনাকালে সব ধরনের ব্যবসা কার্যক্রম যখন ক্ষতিগ্রস্ত, তখন শেয়ারবাজারের অবস্থা পুনরুজ্জীবনের জন্য অনেক বেশি বিকল্প পন্থা নেই। বিশেষ করে করোনার অনেক আগে থেকেই শেয়ারবাজার ঠিকভাবে চলছিল না। তবু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বেশকিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নিয়েছে। যা করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মাত্রা হয়তো কিছুটা কমাতে পারবে। যেমন দৈনিক ট্রডিং সময় বাড়ানো, প্রারম্ভিক মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রি-ওপেনিং এবং ক্লোজিং সেশন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মিউচুয়াল ফান্ড নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন, মার্জিন লোনকে ইনডেক্সের সাথে সম্পর্কিত করা, নতুন শেয়ারবাজারে আনার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। নতুন শেয়ারবাজারে আনার জন্য বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা নির্দিষ্ট আকার কিংবা বিক্রির নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করার পর তাদের শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় আইন করা যেতে পারে।

রাইজিংবিডি: পুঁজিবাজারে বুঝে না বুঝে যারা বিনিয়োগ করছেন, সেসব বিনিয়োগকারীদের জন্য আপনার পরামর্শ-

ফারুক মঈনউদ্দীন: দেশের বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে গ্রহণ করতে অভ্যস্ত নন।আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই, দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার একটা প্রবণতা থেকে বিনিয়োগকারীরা অগ্রপশ্চাত বিবেচনা করেন না।  অনেক সময় শুধুমাত্র গুজবের ওপর ভিত্তি করে স্বল্পমেয়াদি  লাভের পেছনে ছুটতে গিয়ে পুরো বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। শেয়ারবাজারের একটা মূলনীতি হচ্ছে ঋণের কিংবা নিত্য ব্যবহারের অর্থ শেয়ারে লগ্নী না করা। শেয়ারে খাটানো উচিত সেই সঞ্চয়, যার কোনো ব্যবহার নিকট ভবিষ্যতে নেই। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের প্রধান পূর্বশর্ত মেনে, বাজার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করে, কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ও ব্যবসায়িক ইতিহাসের তথ্য জেনে, শেয়ারে অর্থলগ্নী করা উচিত।

রাইজিংবিডি: আপনাদের ব্যাংকের গ্রাহকসেবার মান যথেষ্ঠ বলে মনে করেন? গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয় নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা কী?

ফারুক মঈনউদ্দীন: আমাদের ব্যাংকের গ্রাহকসেবায় অনেক গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে আমরা গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করছি, যাতে সশরীরে শাখায় না গিয়ে আমাদের বিকল্প সেবা মাধ্যম যেমন এটিএম, ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন, মোবাইল অ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারেন। আমরা বিভিন্ন শাখায় রিয়েল টাইম ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন সংযোজনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ ‘ট্রাস্ট পে’, যার মাধ্যমে দেশের যেকেনো ব্যাংকের যে কোনো শাখায় টাকা স্থানান্তর, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ, মোবাইল টপ আপসহ আরও অনেক সেবা পাওয়া যাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। মালয়েশিয়ার আজিয়াটা কোম্পানির সঙ্গে যৌথ অংশিদারীত্বে গঠিত হয়েছে ট্রাস্ট আজিয়াটা ডিজিটাল নামের সাবসিডিয়ারি। এবারের বিজয়ের মাসেই যাত্রা শুরু করবে এই কোম্পানি।         

রাইজিংবিডি: আগের মতো এখন ব্যাংকের চাকরির জন্য রিলেটেড বিষয়ে (বিজনেস ম্যাথ, ইকোনোমিক্স, ফিন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং) না পড়েও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর ভালোমন্দ দিক নিয়ে আপনার মতামত। অন্য বিষয়ে পড়ে যারা এই পেশায় আসতে চায়, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

ফারুক মঈনউদ্দীন: ব্যাংকের চাকরির জন্য বিশেষ কোনো বিষয় বা বাণিজ্য বিভাগে পাস করে আসতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ব্যবসা প্রশাসন, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা থাকলে ব্যাংকিংয়ের মূল দর্শন ও তার টেকনিক সহজেই আয়ত্ত্ব করা সম্ভব। অবাণিজ্যিক বিষয় থেকে পড়াশোনা করে, অনেকেই আবার ব্যবসা প্রশাসনে পড়াশোনা করে আসছেন। অন্য বিষয়ে পড়াশোনা করা যারা, তারা ব্যবসা প্রশাসনে একটা ডিগ্রি নিয়ে এলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হয় এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারেন।
     
রাইজিংবিডি: অনলাইন ব্যাংকিং (বিকাশ, শিওরক্যাশ, কিউক্যাশ, নগদ ইত্যাদি) এবং অর্থলগ্নীকারক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সঙ্গে জেনারেল ব্যাংকিং কার্যক্রম কী সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন?

ফারুক মঈনউদ্দীন: এসব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অবশ্যই ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ ব্যাংকের বিকল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগুলো আমাদের প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। ফলে শাখা ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা কমে যাচ্ছে। কিন্তু আর্থিক অন্তর্ভুক্তির স্বার্থে এই ব্যবস্থা মেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে তাদের কর্মকৌশল বদলাতে হবে। আবিষ্কার করতে হবে ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র ও সেবাপণ্য। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকগুলোকে আর্থিক খাতে নতুন এসব প্রতিযোগিতার সাথে টিকে থাকতে হবে। সুতরাং কেবল আমানত রাখা ও ঋণ দেওয়ার মধ্যে ব্যাংকিং সেবাকে সীমিত রাখার অবকাশ নেই। ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই নতুন সেবাপণ্য নিয়ে আসতে হবে।      

রাইজিংবিডি: আমাদের দেশের জনসংখ্যা, অর্থনীতি, নাগরিকদের জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গড়ে ওঠা বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা বেশি বলে মনে করেন কী?

ফারুক মঈনউদ্দীন: বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। যেখানে ব্যাংকের ভূমিকা কমে আসছে, সেখানে এতগুলো ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন নেই। সাবেক অর্থমন্ত্রী নিজেও এটা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন।

রাইজিংবিডি: কিছু কোম্পানি খুব সহজে ঋণ পাচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপি বা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন। কারো কারো শাস্তি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আটকে যাচ্ছে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা।অন্যদিকে ব্যক্তি ঋণ পাওয়া এবং তা আদায়ে ব্যাংকের কঠোর নীতি– এ বিষয়ে আপনার মতামত?

ফারুক মঈনউদ্দীন: ঋণগ্রহীতা যদি সে ঋণের টাকা ফেরত না দেয় কিংবা দিতে না পারে, সেটা পরিণত হয় ব্যাংকের ক্ষতিতে। তাই ঋণ দেওয়ার আগে ঋণগ্রহীতা সম্পর্কে সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্য জোগাড় ও যাচাই, গ্রহীতার ঋণপ্রাপ্তি যোগ্যতা নিরূপন এবং সর্বোপরি ঋণের বিপরীতে যথাযথ জামানত আদায় করে ঋণটিকে সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা রাখা উচিত। কিন্তু এত সাবধানতা অবলম্বন করার পরও কিছু ঋণ আটকে যেতে পারে।  গ্রহীতার পূর্ব-ইতিহাস ভালো থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণহীন যেকোনো কারণে খেলাপি হয়ে যেতে পারে গ্রাহক। কিংবা গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবেও খেলাপি হয়ে যেতে পারে। ঋণ ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যাংক ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে জামানত গ্রহণ করে। সেটা আর্থিক জামানত হতে পারে, কিংবা হতে পারে ভূসম্পত্তি। কিন্তু নিরাপত্তা জামানত যে কেবল ভূসম্পত্তিই হতে হবে, তেমন কোনো কথা নেই। ব্যাংকে যে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে হয়, সেটি হচ্ছে- যে ব্যবসা বা শিল্পের জন্য ঋণ দেওয়া হচ্ছে, সেটি লাভজনক কি না? সেটি যদি লাভজনক না হয়, তাহলে জামানতের মূল্য যা-ই হোক না কেন, সে ঋণ খেলাপি হতে বাধ্য।ব্যক্তি ঋণের ক্ষেত্রে কিছুটা কঠোর হতে হয় এ কারণে যে, এসব ঋণ জামানতবিহীন। তাই কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে হয় ঋণগ্রহীতাকে। নিয়মিত তাগাদা দিতে হয়, যাতে কিস্তিগুলো সঠিক সময়ে পরিশোধিত হয়।

রাইজিংবিডি: করোনাকালে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কি ধরনের পরিবর্তন আনা উচিৎ বলে মনে করেন?

ফারুক মঈনউদ্দীন: করোনাকালে ব্যাংকিংয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করা উচিত। যাতে গ্রাহক সশরীরে ব্যাংকে না এসে সব ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারেন।     

রইজিংবিডি: অনেক ব্যস্ততার মাঝেও রাইজিংবিডিকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ফারুক মঈনউদ্দীন: আপনি, রাইজিংবিডি সংশ্লিষ্ট সবাই এবং এর পাঠকদেরও ধন্যবাদ জানাই। সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন। 

** পুঁজিবাজার জোয়ার-ভাটার মতো: গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া

** সংকট কাটিয়ে গতিশীল হচ্ছে ব্যাংকিং খাত: এমরানুল হক

মেসবাহ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়