ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ক্যাকটাসে আলতাফের ভাগ্য বদল 

জি এম আদল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২১, ২৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:২৪, ২৫ নভেম্বর ২০২০
ক্যাকটাসে আলতাফের ভাগ্য বদল 

ঘর সজ্জা বা ইনডোর প্ল্যান্ট গাছ হিসেবে ক্যাকটাস বৃক্ষপ্রেমীদের প্রথম পছন্দ। কাঁটাই এর মূল সৌন্দর্য। শহুরে অভিজাত মানুষের কাছে পছন্দের প্রথম তালিকায় এখন ক্যাকটাসের অবস্থান। বাসা বাড়ির এক ভিন্ন শোভাবর্ধন করে এই ক্যাকটাস, তাই বাসার শোভাবর্ধনের জন্য ক্যাকটাস গাছ অনেকেই সংগ্রহে রাখেন। 

কম জায়গায় ছোট ছোট টবে এ গাছ রাখা যায় বলে সৌন্দর্য পিপাসুরা শখ করে বাড়ির আঙ্গিনা ও বাসার ড্রইং রুমে ক্যাকটাস রেখে থাকেন। শহরের অনেক নার্সারিতে ক্যাকটাস দেখা যায়। শহরে ক্যাকটাস নিয়ে অনেক উদ্যোগ চোখে পড়লেও গ্রামে এ ধরনের উদ্যোগ তেমনটা চোখে পড়ে না। তবে এখন শুধু শহর নয়, গ্রামেও কেউ কেউ গড়ে তুলছেন ক্যাকটাস নার্সারি।

বাগেরহাট জেলার মোড়ল গঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের একজন ক্যাকটাসপ্রেমী তরুণ, নাম তার আলতাফ হোসেন। শখের বশে শুরু করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে তিনি ক্যাকটাসের নার্সারি গড়ে তুলেছেন। ইতোমধ্যে আলতাফের ক্যাকটাস সমৃদ্ধ ‘ভিলেজ ইনডোর নার্সারি’ বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। তার এই উদ্যোগের শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে তরুণ উদ্যোক্তা আলতাফ হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই তার গাছের প্রতি এক ধরনের ভালো লাগা-ভালোবাসা নেশা ছিল। ছোটবেলা থেকেই বাড়ির উঠানে, আশপাশে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগাতেন। এক কথায় তিনি গাছের পরিচর্যা করতে ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বাগান করার।

প্রথমে ইন্টারনেটের মাধমে তিনি ক্যাকটাস সম্পর্কে জানতে পারেন এবং শখের বসেই দু’একটা ক্যাকটাস নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ক্যাকটাসের সঙ্গে এখানে বিভিন্ন ধনের অর্কিড যুক্ত করেছেন তিনি। ক্যাকটাস ও অর্কিডের জন্য আলাদা শেড তৈরি করেছেন আলতাফ হোসেন। মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে চারটি ছোট ক্যাকটাস কিনে শুরু করেন ক্যাকটাসের ব্যক্তিগত সংগ্রহ। বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৫০ প্রজাতির ক্যাকটাস, ১০০ প্রজাতির অর্কিড, রয়েছে আরও ৭০-৮০ প্রজাতির ইনডোর গাছ।

শখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাকটাস নার্সারি করার ভাবনাটা কীভাবে এলো এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তরুণ এ উদ্যোক্তা জানান, ‘অনলাইনে একদিন কিছু ক্যাকটাসের ছবি পোস্ট করেছিলাম, সেখানে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া পাই ও আমার ৩৭০০ টাকার একটা অর্ডার আসে। এর পরেই মূলত এটাকে বাণিজ্যিকভাবে করার বেশ আগ্রহ জন্মায়।’

এই মুহূর্তে আলতাফ হোসেনের নার্সারিতে ১২০ জাতের বেশি ক্যাকটাস, সারকুলেন্ত ও অর্কিড রয়েছে। সব মিলে নার্সারিতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্যাকটাস রয়েছে। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার অধিক দামেও বিক্রি হয় এই ক্যাকটাস। 

প্রতি মাসে এখান থেকে গড়ে তিনি ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করছেন। দেশে যেসব ঔষধি গাছ বিলুপ্তির পথে, ভবিষ্যতে তিনি তার নার্সারিতে সেসব গাছ যুক্ত করে সংরক্ষণ ও চারা উৎপাদন করতে চান।

ঢাকা/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়