ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ইবির লোকালয়ে পাখির মেলা 

রানা আহম্মেদ অভি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১১, ২৫ নভেম্বর ২০২০  
ইবির লোকালয়ে পাখির মেলা 

জীববৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যের ছোট্ট লীলাভূমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ইতোমধ্যে এ সৌন্দর্যের শোভা আরও বাড়াতে যুক্ত হয়েছে দেশ-দেশান্তর থেকে আসা শীতকালীন পরিযায়ী পাখিরা। তাদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে আকাশে উড়াল, জলকেলি খেলা আর মধুর কিচিরমিচিরে মুখরিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের লোকালয়।

পাখিদের সঙ্গে জলাশয়ের সবুজ শ্যাওলা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে বহুগুণ। লেকের শ্যাওলা পাড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে বিশ্রাম নিচ্ছে। আবার পাখিপ্রেমীদের আনাগোনা দেখলে দল বেঁধে উড়াল দিচ্ছে জলাশয় থেকে। বিপদমুক্ত মনে হলে পুনরায় ঝপাৎ করে এসে বসছে শ্যাওলা বা পাশের ছোট্ট ডালে। ইচ্ছে হলে জলে ডুবে সাঁতার কাটছে পাখিরা আপন মনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের পেছনে এই পরিযায়ীরা এসেছে। ‘সরালি’ প্রজাতির পাখিই সবচেয়ে বেশি দেখা মিলছে এবার। এছাড়া সন্ধ্যার আগে পাঁচিলের ওই পাড়ের লেকটিতে এদের দেখা মেলে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে প্রতিদিনই সকাল-বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন দর্শনার্থীরা। 

প্রতি বছর শীতের প্রথমে ক্যাম্পাসের এই লেকটিতে পাখি আসে। এইবার মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসাধারণ প্রবেশে রয়েছে কিছুটা নিষেধাজ্ঞা। তাতে সামান্য বঞ্চিত বহিরাগতরা। বিকেল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিল সংলগ্ন এলাকার মানুষ শোনে এই পাখিদের গান৷

বঙ্গবন্ধু হলের সামনের পুকুর, প্রকৌশল অফিস ও সরকারি কোয়ার্টারগুলোর পশ্চিমের লেকগুলোতে এদের আনাগোনা চোখে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শীত বাড়া শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। এই শীতের অতিথি হয়ে আসছে পাখিরাও। 

করোনার এ সময়ে ক্যাম্পাসে প্রায় দুইশত পাখি এসেছে বলে ধারণা করেছেন পাখিপ্রেমী অভি। তিনি বলেন, এবার শীতে প্রতি বছরের ন্যায় শুরুতে প্রথমে ‘মফিজ লেকে’ পাখি এসেছে। তারপর অন্যান্য লেকে দেখা মিলছে। প্রায়গুলোই ‘সরালি’ প্রজাতির। 

তিনি আরও বলেন, গত বছর বিভিন্ন প্রজাতির আনুমানিক হাজারটির বেশি পরিযায়ী পাখি এসেছিল। অতীতের মতো এবারও শীতে ক্যাম্পাসে প্রচুর পাখি আসবে বলে ধারণা করছি।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকতা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর পরিমাণ পাখি দেখা যাচ্ছে। শীতের শেষ পর্যন্ত তারা অবস্থান করবে। এসব পাখিকে বিরক্তমুক্ত ও বিপদমুক্ত রাখতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া নিদের্শনা সম্বলিত বিল বোর্ডও প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাঙ্গানো হয়েছে।

ইবির মফিজ লেকটিতে অতিথি পাখিসহ নানা বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির পাখিরও দেখা মিলছে। প্রধানত যেসব পাখির দেখা মেলে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ডুবুরি, পকড়া, পানকৌরি প্রভৃতি প্রজাতি।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

ইবি/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়