ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সঠিক পথে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, যেতে হবে বহুদূর

মো. রকিবুর রহমান   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০  
সঠিক পথে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, যেতে হবে বহুদূর

নিয়মনীতি না মেনে পুঁজিবাজারে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং তথাকথিত স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ইচ্ছেমতো ও নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে লিস্টেড কোম্পানিগুলো পরিচালনা করার দিন শেষ। সরকার প্রধানের কঠোর নির্দেশ এবং বিএসইসি’র কঠোর অবস্থানের কারণে সবাইকে কমপ্লায়েন্স মেনে Listed company পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে।

যে সব কোম্পানি ২-৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের আইনের বাধ্যবাধকতা যথাযথ রক্ষা করে নাই, কমপ্লায়েন্সের তোয়াক্কা করে নাই, তাদের সবাইকে এখন কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ করতে হচ্ছে। ভালো ভালো কোম্পানি সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোম্পানি পরিচালনা করছে। যা পুজিঁবাজারে বিনিয়োগকারীর জন্য সুখবর। ডিসক্লোজারের ভিত্তিতে নতুন নতুন কোম্পানি Listed হচ্ছে। অডিটরদের মিথ্যা তথ্য, ইস্যু ম্যানেজারদের প্রতারণা, আন্ডার রাইটাদের জবাবদিহিহীনতা, স্পন্সরদের প্রতারণা, asset valuation কোম্পানির জমির দাম অতিরঞ্জিত করা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে শেয়ার বিক্রি করার দিন ফুরিয়ে এসেছে। ভুল তথ্য, মিথ্যা তথ্য, over valuation, paid up capital rise, vat tax payment, রাতারাতি বাজারে আসার আগে কোম্পানির EPS বেড়ে যাওয়া, পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া, reserve বেড়ে যাওয়া, কোম্পানির productive পণ্যের মজুত বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখানো এখন আর সম্ভব নয়। একচেঞ্জ এবং IPO process কমিটিতে সব ধরা পড়ে যাচ্ছে, খুব বেশি লুকানোর সুযোগ নেই। আইপিও অনুমোদনের ব্যাপারে বিএসইসি ভালো টেকসই কোম্পানিকে উৎসাহিত করছেন এবং অপরদিকে আজেবাজে কোম্পানিকে কঠোরভাবে scrutiny করে reject করে দিচ্ছেন।

আমি এক্সচেঞ্জ এবং বিএসইসি উভয়কে বিনিয়োগকারীদের আবার ফিরিয়ে এনে পুজিঁবাজারকে গতিশীল করার এই পদক্ষেপগুলোকে সাধুবাদ জানাই। এতে বাজারে ভালো মৌলভিত্তিক প্রাইভেট কোম্পানিগুলো আসতে উৎসাহিত হবে। অপরদিকে আজে বাজে কোম্পানি অনুৎসাহিত হবে। আমাদের এই অবস্থান থেকে একেবারেই সামান্যতম ছাড় দেওয়া চলবে না। বিভিন্ন listed company, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে, প্রতারণার মাধ্যমে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়, তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। যারা শেয়ারের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে এবং শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদেরকে আর এই সুযোগ দেওয়া যাবে না।

জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি, নন-পারফরমেন্স কোম্পানি, small paid up কোম্পানি, যাদের মূলত কোনো ব্যাবসা নেই, তাদের ব্যাপারে বিএসইসির বর্তমান পদক্ষেপকে আমি সময়োচিত ও সঠিক বলে মনে করি। যারা ২-৩০ শতাংশ পালন করেননি, তাদের ব্যাপারে বাস্তব সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। সেসব বোর্ড পুনর্গঠনে সৎ, যোগ্য ও committed স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। যারা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার এবং বিনিয়োগকারীর স্বার্থ দেখবেন। স্বাধীন পরিচালকগণ এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন যাতে তাদের উপর বিনিয়োগকারীদের এবং সর্বোপরী পুঁজিবাজারের একটি আস্থার অবস্থান তৈরি হয়। যদি কোনো কোম্পানি প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয় তবে এমন প্রফেসনালদের নিয়োগ দিবে যারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও দক্ষতার সাথে পালন করবেন। Emotionally কারো সুপারিশে এ সকল নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তা না হলে কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না। স্বাধীন পরিচালক এবং প্রশাসক নিয়োগের তিন মাসের মধ্যে তাঁদের কাজ হবে সকল প্রকার প্রভাব বলয় থেকে বের হয়ে কোম্পানির সঠিক অবস্থা বিনিয়োগকারীদের নিকট তুলে ধরা। কোম্পানি প্রোডাকশনে আছে কিনা, সম্পদ কি আছে, কোম্পানিটি বর্তমানে যেখানে অবস্থান করছে সে জমি নিজেদের কিনা, নিজেদের হলে তাঁর valuation, কোম্পানির long-term ও short-term loan কত, Sponsor/Director যারা বর্তমানে আছেন তাদের ভূমিকা, যারা কোম্পানিতে কাজ করছে তারা তথাকথিত Sponsor/Director দের নিজস্ব লোক কিনা, এসবকিছু আমলে নিয়ে তিন মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করবেন।

যে সব বিনিয়োগকারী ২ শতাংশ শেয়ার hold করে তারা যদি কোম্পানি পরিচালনায় আসতে চায় তাদের automatically কোম্পানি পরিচালনা পরিষদে আসার সুয়োগ করে দিতে হবে। অথবা কোনো ইনস্টিটিউশন যদি অনেক বেশি শেয়ার hold করে তাদের শেয়ার অনুপাতে ঐ কোম্পানির বোর্ডে আসার সুযোগ করে দিতে হবে। প্রভাবশালী কারো আপত্তি এই সকল পরিচালক নির্বাচনে যাতে বাধা না হয়। বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে ব্যাংক, এনবিএফআই, লিজিং কোম্পানিগুলোতে। বিএসইসিকে এখানে সবচেয়ে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে ব্যাংক ব্যবস্থা ভালো থাকলে পুঁজিবাজার ভালো থাকবে। কারণ ব্যাংক, এনবিএফআই, লিজিং ও বীমা খাতের ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার বেশি। সিংহভাগ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা এই সকল কোম্পানিতে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। কাঠামোগত ভাবেই ব্যাংক পরিচালিত হয় ডিপোজিটরদের টাকায়। বিগত দিনগুলোতে আমরা দেখেছি তথাকথিত স্পন্সর/ডিরেক্টররা ব্যাংকের মালিক বলে যা ইচ্ছা তা করেছেন, জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট নিজেদের মনমতো সাজিয়েছেন, চাকরির ক্ষেত্রে নিজেদের অযোগ্য লোককে প্রাধান্য দিয়েছেন, স্বাধীন পরিচালক নিজেদের পছন্দমত মনোনয়ন দিয়েছেন যারা শুধু তথাকথিত sponsor/director স্বার্থরক্ষা করেছেন।

আমি আবার বলছি ব্যাংকের টাকা ডিপোজিটরের টাকা এবং ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হাতে অনেক বেশি। ২০০৯-১০ এ বিভিন্ন ব্যাংকের অনেক Sponsor/Director কৃত্তিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে ১০ টাকার শেয়ার ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। বর্তমানে সেসব ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১০-১২ টাকা। হাজার হাজার বিনিয়োগকারী তাঁদের পূঁজি হারিয়েছেন, অপরদিকে তথাকথিত ব্যাংকের Sponsor/Director কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পূঁজিবাজারে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এই সকল কারসাজির চূড়ান্ত অবসান জরুরি। কোনো ব্যাংকের অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো পরিচালক যদি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে তাদেরকে পরিচালনা পরিষদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং এমন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে যারা ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যাংক পরিচালনা করবেন। ব্যাংক ব্যবস্থার উপর দেশ এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। কেউ যেন মনে না করেন যে উনি ব্যাংকের মালিক। বৃহত্তর স্বার্থে ব্যাংকের মালিকের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের সবাইকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হতে হবে। পারিবারিকভাবে ব্যাংক পরিচালনা থেকে সরে আসতে হবে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের দৃঢ় নেতৃত্ব ও কঠোর অবস্থান ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং আথির্ক প্রতিষ্ঠান, লিজিং এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে সুশাসন, গুড গর্ভনেন্স ও কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাতে করে পুঁজিবাজার বিকশিত হবে, অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখবে এবং সর্বোপরি দেশের সার্বিক অগ্রগতি তরান্বিত হবে।

সিরিয়াল ট্রেড, সার্কুলার ট্রেড এবং ম্যানুপুলেশনকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধী যেই হোক তার অপরাধের পরিমাণ যাচাই করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটাও বলা যাবে না যে প্রথমবার তাই সতর্ক করলাম। তার অপরাধের পরিমাণ দেখতে হবে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি তাকে দিতে হবে। মার্কেট ম্যানুপুলেশন, সিরিয়াল ট্রেড এবং সার্কুলার ট্রেড এর জন্য তাকে যতই সতর্ক করা হোক না কেন সে অপরাধ করবেই, ইতিহাস তাই বলে। চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী।

স্টক এক্সচেঞ্জ এবং এর সার্ভেইল্যান্স ও মনিটরিংকে আরও strong করতে হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে দ্বারা তা পরিচালনা করতে হবে। এই সকল ডিপার্টমেন্ট এর কর্মকর্তা, কর্মচারীকে অবশ্যই ১০০ শতাংশ সৎ এবং প্রফেশনাল হতে হবে এবং জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হবে। একজন বিনিয়োগকারী কখন কোন শেয়ার ক্রয় করবে অথবা বিক্রয় করবেন তা তাঁর একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। সেক্ষেত্রে কোন বিনিয়োগকারী যদি আইনের মধ্যে থেকে স্বাভাবিকভাবে শেয়ার বিক্রি করেন বা তাঁর শেয়ার বিক্রি যদি নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম ফেলে দেবার মোটিভ হিসাবে কাজ না করে তাহলে সে কেন শেয়ার বিক্রি করলেন, তার বিও একাউন্টের হিসাব ইত্যাদি কি তাঁর কাছে চাওয়া কি ঠিক হবে? অপরদিকে, জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি, নন-পারফরমেন্স কোম্পানি, small paid up কোম্পানি, যাদের মূলত কোন ব্যাবসা নেই কৃত্রিমভাবে সেসব শেয়ারের দাম বাড়ালে এক্সচেঞ্জ সার্বেইল্যান্স/ মনিটরিং শুধু মাত্র সাদামাটা একটি চিঠি দিয়ে জানতে চায় কেন শেয়ার কিনছেন। এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লে তার জন্য কোন কোয়ারি হবে না, বিও একাউন্টের হিসাব চাওয়া হবে না, এটা ঠিক না। এই মনোভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে হবে। এখানে পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নাই। এ সব ডিপার্টমেন্টে যারা কাজ করছেন তাদের ব্যাপারে বিএসইসিকে অবহিত করতে হবে।

আমি আগেও বলেছি সরকার প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করে অর্থনীতি গতিশীল করার সকল সুযোগ করে দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে এনে বাজারকে গতিশীল করে অর্থনীতিতে আরও বেশী অবদান রাখার দায়িত্ব হল বিএসইসি এবং এক্সচেঞ্জের। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএসইসি এর কঠোন নজরদারি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিংয়ের দক্ষতা, Ministry of Finance, Bangladesh Bank, NBR -এর সঠিক পদক্ষেপে এমন একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে যার সফলতায় আমাদের দেশের সৎ ও সফল শিল্পোদ্যোক্তাগণ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সুদে টাকা না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজেদের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রসারণ করবেন এবং দেশের কল্যাণে নতুন কর্মসংসান এর সৃষ্টি করবেন। এতে করে ব্যাংক স্টার্ট আপ/ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসাবে আরও বেশী লোন দিতে পারবে এবং ব্যাংক ব্যাবস্থাও ভাল থাকবে।

আসুন আমরা সবাই মিলে যে যেখানে নেতৃত্বে আছি নিজ দায়িত্ব সততা এবং প্রফেশনালী পালন করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইনশাল্লাহ্ আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি। সকল পদক্ষেপ আমাদের সতর্কতার সাথে নিতে হবে। তাড়াহুড়া করা যাবে না। সবাইকে ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে। সবে তো শুরু, যেতে হবে বহুদূর। বছরের পর বছর ধরে পুঁজিবাজারে যে অনিয়ম চলে আসছে তার সমাধান রাতারাতি হবেন না। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। BSEC এবং Exchange কে অনেকদিন ধরে জমে থাকা অনিয়মগুলো দূর করতে কাজ করতে হচ্ছে, অনেক অনিয়ম তার মাঝে। কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হতেই পারে। এটাকে বড় করে দেখা ঠিক হবে না। আমরা ভুলগুলো সুন্দরভাবে ধরিয়ে দিই তাতে করে সবাই উপকৃত হবে।

সর্বশেষ বিনিয়োগকারী ভাইদের বলবো পূঁজিবাজারে আপনার বিনিয়োগের মুনাফা যেমন, তেমনি লোকসানটাও আপনার। তাই অনেক সতর্কতার সাথে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। এখানে emotion এর কোন জায়গা নেই। আপনার বিনিয়োগের ভুল সিদ্ধান্তে আপনি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ টাকাটা আপনার। আল্লাহ হাফেজ।

লেখক: সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড



 

ঢাকা/তারা

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়