ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘মৃত’ জেনের জীবিত থাকার লড়াই

অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৭:২৪, ১৪ জানুয়ারি ২০২১
‘মৃত’ জেনের জীবিত থাকার লড়াই

একজন সুস্থ সবল মানুষ যা যা করেন সবই করছেন জেন পাউচাইন। কিন্তু এরপরও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

৫৮ বছর বয়সি এই নারী ফ্রান্সের রিভ-ডি-গিয়ার অঞ্চলের বাসিন্দা। সাবেক এক কর্মীর সঙ্গে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে এই মামলায় রায়ে জেনকে ভুলবশত মৃত ঘোষণা করেন স্থানীয় শ্রম আদালত। এরপর থেকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তিনি। 

তিন বছর আগে আদালতের রায়ে তাকে মৃত ঘোষণা হয়। এই রায়ের ফলে অফিশিয়াল রেকর্ড থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সবকিছু হারিয়েছেন তিনি। এক কথায় জীবিত থেকেও এখন মৃত জেন পাউচাইন।   

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন খুব দ্রুত এর সমাধান হবে। আমার চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিয়েছেন যে আমি এখনো বেঁচে আছি। কিন্তু যেহেতু আদালতে রায় দেওয়া হয়েছে তাই এই প্রমাণ যথেষ্ট নয়।’

এখনো যদি কোথাও বিপদে পড়েন তাহলে নিজেকে কাগজে কলমে জীবিত প্রমাণ করতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। 

কিন্তু কেন এমন ঘটল? মূলত, ২০০০ সালে জেন পাউচাইন তার ক্লিনিং কোম্পানি থেকে কয়েকজন কর্মীকে ছাটাই করেন। সেই থেকে বিপদের শুরু। কর্মীদের একজন তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০৪ সালে আদালত ওই কর্মীকে ১৪ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে রায় দেন। কিন্তু মামলাটি বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে হওয়ায় জেন বিষয়টিতে জড়াননি। ২০১৬ সালে ওই কর্মী আবারো আদালতে মামলা করেন। এরপর জেনকে মৃত মনে করে তার স্বামী ও সন্তানদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেন আদালত।        

অনেকেই মনেই প্রশ্ন আদালত কেন জেনকে মৃত ঘোষণা করলো? ওই কর্মী ও তার আইনজীবী দাবি করেন, এজন্য জেন নিজেই দায়ি। আইনি জটিলতা এড়াতে নোটিশের উত্তর দেননি তিনি। পরবর্তী সময়ে উত্তর না দেওয়ার কারণে ওই কর্মী আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, জেন হয়তো মারা গেছেন। আদালতও বিষয়টি বিশ্বাস করেছেন।

কিন্তু বিষয়টি মানতে নারাজ জেন পাউচাইন। তিনি বলেন, ‘এটি অদ্ভুত গল্প। আমি এটি বিশ্বাস করি না। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া বিচারক একজনকে মৃত ঘোষণা করতে পারেন না।’

ঢাকা/মারুফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়