যে কারণে দেরি হচ্ছে লেবাননে সরকার গঠন প্রক্রিয়া
জসিম উদ্দীন সরকার, লেবানন || রাইজিংবিডি.কম
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শপথ নিতে পারেননি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেই তার শপথ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দফায় দফায় মন্ত্রিপরিষদের খসড়া নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ঐক্যমতে আসতে পারেননি। আর সাদ হারিরির করা মন্ত্রিপরিষদের খসড়া রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিলেও অভিযোগ উঠে মন্ত্রিপরিষদে রাষ্ট্রপতি মিশেল আউনের ঘনিষ্ঠ জনের নাম না থাকায় গঠিত হয়নি দেশটির মন্ত্রিপরিষদ।
লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলে দিন দিন অবনতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। বৈরুত পোর্টে বিষ্ফোরণের পর আন্তর্জাতিক দাতাগুষ্ঠী লেবাননের দিকে কিছুটা সুনজর দিলেও রাজনৈতিক কোন্দল ও একটি শক্তিশালী নির্ভরযোগ্য সরকার না থাকায় এগিয়ে আসেনি কেউ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও শর্ত জুড়ে দেয় একটি শক্তিশালী ও আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য সরকার গঠনের। দুই মাসের ব্যবধানে তিনি লেবাননও সফর করেন দুইবার।
সবকিছু বিবেচনা করে লেবাননের রাষ্ট্রপতি মিশেল আউন সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে মনোনয়ন দেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিমতের কারণে বাধ্য হয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি মিশেল আউন। সাংসদের ভোটে বিজয় লাভ করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সাদ হারিরি। এরপর থেকে শুরু হয় মন্ত্রিপরিষদ গঠনের কাজ। মন্ত্রিপরিষদ গঠনের রাষ্ট্রপতি মিশেল আউন ও প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেন। ফলে আজও গঠন করা হয়নি মন্ত্রিপরিষদ। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই চলছে দেশটি।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে এবার নতুন করে রাষ্ট্রপতি ও মনোনীত প্রধানমন্ত্রীকে এক টেবিলে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন মারোনাইট পেট্রিয়ার্স (ফাদার মারোনাইট)। তিনি ফোনে রাষ্ট্রপতি মিশেল আউনকে অনুরোধ জানিয়েছেন সাদ হারিরির সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করতে। লেবাননের জাতীয় দৈনিক আল জমোহুরিয়া পত্রিকায় মারোনাইট পেট্রিয়ার্স এমনটি জানিয়েছেন।
খবরে বলা হয়েছে, মারোনাইট পেট্রিয়ার্স রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, রাষ্ট্রপতি এখনো পর্যন্ত কোনো সম্মতি দেননি।
লেবানন/জসিম/সাইফ
আরো পড়ুন