ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন নৌবাহিনীর কমান্ডার

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২১  
মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন নৌবাহিনীর কমান্ডার

ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার নাম এম মোতাহার হোসেন।  তিনি নৌবাহিনীর কমান্ডার।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।  সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।  মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

এদিন, কারাগারে থাকা মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরকে আদালতে হাজির করা হয়।  ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন।  গত ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।

৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর আদালত চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করে মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বদলির আদেশ দেন।  গত ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এদিকে, এদিন ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল।  ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় ডিআইজি মিজানকে হাজির করা হয়। এজন্য তাকে এ মামলায় হাজির করা সম্ভব হয়নি।

এজন্য ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।  এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। ডিআইজি মিজান এবং মাহমুদুল হাসান কারাগারে আছেন।  এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়।  ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক।  তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।

মামুন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়