ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হাসান হাফিজুর রহমানের ৩৯তম প্রয়াণ দিবস

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১২:১৬, ১ এপ্রিল ২০২১
হাসান হাফিজুর রহমানের ৩৯তম প্রয়াণ দিবস

কবি, সাংবাদিক, সমালোচক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ১৬ খণ্ডের দলিলপত্রের সম্পাদক হিসাবে খ্যাত হাসান হাফিজুর রহমানের প্রয়াণ দিবস আজ।  

স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র সম্পাদনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯৮৩ সালের ১৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য তাকে মস্কোতে পাঠানো হয়। সে বছরেরই ১ এপ্রিল মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।

পেশাজীবনে সাপ্তাহিক বেগম, সওগাত, দৈনিক বাংলায় সাংবাদিকতা করেছেন। জগন্নাথ কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন।

জন্ম ১৯৩২ সালের ১৪ জুন জামালপুরে নানা বাড়িতে। বাবার নাম আবদুর রহমান এবং মায়ের নাম হাফিজা খাতুন। পৈত্রিক বাড়ি ছিল ইসলামপুর থানার কুলকান্দি গ্রাম।

স্কুলছাত্র থাকাকালেই সওগাত পত্রিকায় তার ছোট গল্প “অশ্রুভেজা পথ চলাতে” প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অবদান রাখেন। একুশের চেতনার উপর ভিত্তি করে তার কবিতা অমর একুশে প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালেই। এর সঙ্গে আরও কিছু লেখা একত্রিত করে ১৯৫৩ সালে তিনি তার প্রথম বই একুশে ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেন।

হাসান হাফিজুর রহমান বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হন। সে বছর তিনি নাট্য চক্রের সভাপতি হন। হাসান হাফিজুর রহমান সাম্যবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশ নেন।

উল্লেখযোগ্য অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে- বিমুখ প্রান্তর (১৯৬৩), আর্ত শব্দাবলী (১৯৬৮), আধুনিক কবি ও কবিতা (১৯৬৫), মূল্যবোধের জন্যে (১৯৭০), প্রতিবিম্ব (১৯৭৬), আরো দু’টি মৃত্যু (১৯৭০) ইত্যাদি।  বাংলা ভাষায় হোমারের ‘ওডিসি’ তিনিই প্রথম অনুবাদ করেন। 

সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন আদমজী পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণ পদকসহ ১৯৮৪ সালে মরণোত্তর একুশে পদক।

ঢাকা/শাহ মতিন টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়