ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পেঁয়াজের ফলন ভালো, দামও বেশি, খুশি কৃষকরা 

শাহীন আনোয়ার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০২, ৫ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৪:১০, ৫ এপ্রিল ২০২১
পেঁয়াজের ফলন ভালো, দামও বেশি, খুশি কৃষকরা 

মাগুরার চার উপজেলায় চলতি বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার চার উপজেলার মধ্যে শ্রীপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এতে জেলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। 

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে বেশি লাভবান হবে। জেলায় মোট ১০ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। 

তার মধ্যে সদরে ১ হাজার ১৯০ হেক্টর, শ্রীপুরে ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর, শালিখায় ১ হাজার ১৪০ হেক্টর ও মহম্মদপুরে ১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।  এবার হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ১৪ মেট্রিক টন। 

লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.৪৭ মেট্রিক টন। জেলায় এবার বারী-১, ৪ এবং পুরী, লালতীর, সুপার ও কিং জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা। 

শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের মর্কদ্দখোলা গ্রামের পেঁয়াজ চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে জমিতে পেঁয়াজ ভালো হয়েছে। আমি এবার দুই বিঘা জমিতে লালতীর জাতের পেঁয়াজের আবাদ করেছি। পৌষ মাসের মাঝামাঝিতে জমিতে বীজ বপন করেছি। বীজ বপন করার পাশাপাশি সার ও সেচ দিয়েছি। পেঁয়াজের চারা বের হলে জমিতে বাড়তি যত্ন নিয়েছি। সময়মতো সেচ ও সার দেওয়ার ফলে আমার পেঁয়াজ ভালো হয়েছে।’ 

‘চলতি চৈত্র মাসেই পেঁয়াজ জমি থেকে তুলতে শুরু করেছি। এবার বিঘায় ৮০-৯০ মন পেঁয়াজ পাব বলে মনে করছি। বীজ, সারসহ অন্যান্য খরচ দিয়ে আমার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন প্রতি মণ পেঁয়াজ ৯৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’ এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে তিনি এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করবেন বলে জানান।

উপজেলার জয়নগর গ্রামের চাষি নির্মল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এবার সুপার জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। এ চাষে পেয়েছি ভালো ফলন। এ জাতের পেঁয়াজের রঙ, আকার ও গঠন খুবই ভালো। এটি দেশি জাতের পেঁয়াজের মতো। আশা করছি ভালো টাকা পাব।’ 

মাগুরা সদর, শ্রীপুরের লাঙ্গলবাঁধ, শালিখার আড়পাড়া ও মহম্মদপুর উপজেলা সদর ও নহাটা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিমণ পেঁয়াজ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাগুরা সদর বাজারের পেঁয়াজের ফড়িয়া আরব আলীসহ তিনজন জানান, কয়েক বছর পেঁয়াজের দাম পাওয়ায় এ এলাকায় ব্যাপক উৎপাদন বেড়েছে। মাগুরার বিভিন্ন হাট থেকে পেঁয়াজ কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চালান করেন।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরর উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন, ‘মাগুরার মাটি পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। এবার জেলায় পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। দাম পাওয়ায় কৃষক বেশি জমিতে আবাদ করেছেন।’

মাগুরা/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়