ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সরকারি খাদ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর দাবি

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ১০ এপ্রিল ২০২১  
সরকারি খাদ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর দাবি

ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় খাদ্যসামগ্রী পরিবহন ঠিকাদারদের ছয়টি সংগঠন সরকারি খাদ্য পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এছাড়া, সুদমুক্ত ব্যাংক ঋণের দাবি জানিয়েছেন তারা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি দাবিনামা বিবেচনার জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। 

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের কারণে অনেক পরিবহন মালিক, চালক ও শ্রমিক ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। ফলে সরকারি খাদ্য সামগ্রী পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে ঠিকাদারদের ছয়টি সংগঠনের পরিবহন বিল ৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এসব ঠিকাদার বিভিন্ন বন্দর থেকে সারা দেশের খাদ্য গুদামগুলোতে সড়ক ও জলপথে খাদ্যসামগ্রী পরিবহন করে থাকে।

ছয় পরিবহন ঠিকাদার হলো—বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতি, রেলওয়ে ঠিকাদার এম/এস রিমি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা জেলা পরিবহন সমিতি (খাদ্য), খুলনা খাদ্য পরিবহন (সড়ক ও জনপথ) ঠিকাদার সমিতি, বাংলাদেশ খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতি (বিভাগীয় সড়ক পরিবহন ঠিকাদার- চট্টগ্রাম), রাজশাহী খাদ্য পরিবহন সমিতি (সড়ক ও জনপথ)।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মহামারি করোনার সময়ে ঠিকাদারদের এ প্রস্তাব সরকার আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এটা আরও কড়াকড়িভাবে পালন করা হবে। তাই পরিবহন ঠিকাদারদের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় যে খাদ্যশস্যের পরিবহন ব্যয় ১৫ হাজার টাকা, লকডাউনের সময় তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্যসামগ্রী পরিবহনের জন্য প্রণোদনা প্রয়োজন।’

তিনি জানান, খাদ্যসামগ্রী পরিবহনে ৫০০ থেকে ৮০০টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ব্যবহৃত হয়। তবে এর বেশিরভাগই ভাড়া করা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউ এবং পরে লকডাউন চলাকালে পরিবহন ব্যয় বাড়ার কারণে পরিবহন ঠিকাদাররা সমস্যায় পড়েছিলেন।

৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির কারণে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ভাড়া বেড়ে গিয়েছিল। তখন রাস্তায় ট্রাকের দেখাও পাওয়া যেত না। প্রস্তাবে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে ভাড়ায় চালিত পরিবহন চালকরাও কাজ শেষে খাবার ও আবাসন সমস্যার শিকার হয়েছেন।

এছাড়া, খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারদের ছয় সংগঠন বিভিন্ন বন্দর থেকে সারা দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদাম ও এলাকায় খাদ্য পরিবহনের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দাবি করেছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়