পাকুন্দিয়ায় ইউএনও আসার খবরে বাল‌্য বিয়ে বন্ধ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এগারসিন্দুর গ্রামে ঘটা করে চলছিল বাল‌্য বিয়ের আয়োজন। বিয়ের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন। অপেক্ষায় মেয়েপক্ষ, কিছুক্ষণের মধ‌্যেই আসবে বরপক্ষ। এরই মধ‌্যে ইউএনও আসার খবরে রাস্তা থেকেই পালিয়ে যায় বরপক্ষ। বন্ধ হয় বাল্য বিয়ে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) একেএম লুৎফর রহমানের উপস্থিতিতে বন্ধ হয় বাল‌্য বিয়েটি।

জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের (১৬) একই উপজেলার কুড়তলা গ্রামের প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। এ উপলক্ষে উভয় পক্ষের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। তবে বরযাত্রীর পরিবর্তে পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ইউএনও। মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায় বিয়ে। আর সেই খবর পেয়ে রাস্তা থেকেই পালিয়ে যায় বরপক্ষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ‘‘সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল‌্য বিয়ে হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে মেয়ের বাবা-মাকে জানানো হয়। 

‘এছাড়া মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে অঙ্গীকার করে মুচলেকায় সাক্ষর দেন মেয়ের বাবা-মা। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এসময় বরপক্ষকে পাওয়া যায়নি।’’