ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে ‘ওরিয়ন টি’ 

পল্লব আহমেদ সিয়াম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ৩ জুন ২০২১   আপডেট: ১৫:২৮, ৩ জুন ২০২১
বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে ‘ওরিয়ন টি’ 

মেহেদী হাসান। কাজ করেছেন দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে তিনি ওরিয়ন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ওরিয়ন টি’ কোম্পানি লিমিটেডের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের হেড অব এক্সপোর্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। মেহেদীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিশ্ববাজারে ওরিয়ন নিয়ে জানতে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ক্যাম্পাস সাংবাদিক পল্লব আহমেদ সিয়াম।

সিয়াম: বর্তমানে চায়ের চাহিদা কতটা বেড়েছে?

মেহেদী হাসান: করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববাজারে চায়ের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে বিশ্বে চা পানের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই দেশের বাজারের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ চা রপ্তানিতে প্রায় ১০০ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

সিয়াম: রপ্তানি বাজারের অবস্থা কী?

মেহেদী হাসান: এসময়ে বিশ্ববাজারে চা রপ্তানিতে বাংলাদেশের একটি ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত বিশ্ববাজারে চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি। বর্তমানে বাংলাদেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উন্নত মানের চায়ের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। ওরিয়ন টি গুণে-মানে ভালো হওয়ায় বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

সিয়াম: কোন কোন দেশে ওরিয়ন চা রপ্তানি হচ্ছে?

মেহেদী হাসান: ২০২০ সালে ২০টি দেশে ওরিয়ন টি কোম্পানি লিমিটেড নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত চা রপ্তানি করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন ৬টি দেশে চা রপ্তানি করেছে। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, সৌদি আরব, গ্রিস, সাইপ্রাস, কানাডা, মালেশিয়া, মরিশাস, ব্রুনাই, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, কাতার, বাহারাইন, জাপান সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম। আরও অনেক নতুন দেশে যা রপ্তানির জন্য কাজ করে যাচ্ছে ওরিয়ন টি।

সিয়াম: ওরিয়ন টি’য়ের বিশেষত্ব কী?

মেহেদী হাসান: ওরিয়ন টি কোম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব ওরিয়ন ও জাফলং ব্র্যান্ডের গ্রিন টি রয়েছে। এই চা খুবই স্বাস্থ্যকর এবং উন্নত মানের পানীয়। দেশীয় বাজারে ‘জাফলং’ ব্র্যান্ডের গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি অনেক ধরনের প্যাকেজিং করে চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে ওরিয়ন নিজস্ব নামে ওরিয়ন ব্র্যান্ডের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, টি ব্যাগ এবং লুজ আকারে প্যাকেজিং করে রপ্তানি করছে। এই ব্র্যান্ডের চা’য়ের বিশেষত্ব হলো- সেরা বাগানের সেরা চা এবং বিশেষ ব্লেন্ড।

সিয়াম: গ্রিন চায়ের বাজার কেমন?

মেহেদী হাসান: একটি অভিজাত পণ্য হিসেবে রপ্তানি বাজারে গ্রিন টি’র চাহিদা ব্যাপক। এসজিএস একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি ওরিয়ন চায়ের পরীক্ষা করে সব গুণগতমান বিদ্যমান থাকার সনদ দিয়েছে।

সিয়াম: আপনাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

মেহেদী হাসান: দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ওরিয়ন নতুন নতুন স্বাদের বেশ কিছু উন্নত মানের চা বাজারে আনতে যাচ্ছে। আমি যেহেতু ‘ওরিয়ন টি’ কোম্পানি লিমিটেডের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের হেড অব এক্সপোর্ট হিসেবে কর্মরত আছি, তাই আমার পরিকল্পনা ‘ওরিয়ন টি’ বিশ্ববাজারে আরও সুনামের সঙ্গে ছড়িয়ে দেওয়া। চায়ের বাজার বাংলাদেশের দখলে নেওয়া। 

ইবি/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়