ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঢাকার খালগুলো বাঁচালে বাঁচবে ঢাকার পরিবেশ

মো. কামাল হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৩ জুন ২০২১  
ঢাকার খালগুলো বাঁচালে বাঁচবে ঢাকার পরিবেশ

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের অভিমত জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাপেই ঢাকা শহরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই শহরের জনসংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে সেটি বজায় থাকলে শহরের পানি, বায়ু এবং শব্দ দূষণের হার আনুপাতিক হারে বাড়তে থাকবে। আর বর্তমানের মতো পরিবেশ দূষণ চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ঢাকা শহর হতে পারে বসবাস অনুপযোগী শহর। বলা হয়ে থাকে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে তার মধ্যে পুষ্টির পরেই পরিবেশের অবস্থান। ঢাকার পরিবেশ দূষণ কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটি তুলে ধরেছে বৈশ্বিকভাবে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালে বেশির ভাগ সময় ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর।

দেশের বায়ুদূষণের অবস্থা একদিকে দিন দিন খারাপ হচ্ছে, অন্যদিকে বায়ুদূষণের উৎস দিন দিন বাড়ছে। বায়ুদূষণ মোকাবিলার প্রথম কাজ হচ্ছে দূষণের উৎস বন্ধ করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা এবং জলাশয়গুলো রক্ষা করা। এই দূষিত বায়ুর মধ্যে নগরের মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে, সেই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। তবে সবার আগে বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু বায়ু নয়, ঢাকা শহরের পরিবেশ নিয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশুদ্ধ এবং সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। এ সংকটের অনেক কারণের অন্যতম হচ্ছে জলাশয় কমে যাওয়া, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া। গাছপালা কমে যাওয়া, বিশুদ্ধ অক্সিজেনের অভাবও ঢাকা শহরে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। 

গাছপালা মানুষের নির্গত কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয় পরিবেশে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলাশয়ের ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। এটা পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখে। ভূ-খণ্ডের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেলে। ভূ-খণ্ডের উপরের জলাশয় কমে যাওয়ায় দিন দিন মাটির গভীরের পানির স্তরও চলে যাচ্ছে আরো নিচে। নগরবিদরা বরাবরই বলে আসছেন ঢাকার ভারসাম্যহীন পরিবেশের জন্য দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ন। বাণিজ্যিক এলাকা, শিল্প এলাকা, এমনকি আবাসিক এলাকা, কোনোটাতেই নেই সঠিক ও পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার ছাপ। 

পরিবেশ দূষণের কারণে সকলের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও নারী ও শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে শিশুদের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বাতাসে ভারী ধাতু ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা বেড়ে গেলে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, স্নায়ুজনিত সমস্যা বেড়ে যায়, বুদ্ধিমত্তা কমে যায়। বিশেষজ্ঞগণের মতে দূষণের মাত্রা এতোই বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে এই শহর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য দূষণমুক্ত বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সুন্দর, টেকসই ও পরিবেশসম্মত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের জন্য সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কার্যকরভাবে মোকাবিলায় বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের রয়েছে অনেক আইন ও বিধি। বিশ্ব উষ্ণায়নজনিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ অভিঘাতের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন এবং প্রশমন বা কার্বন নিঃসরণ হ্রাস- এ দুই খাতেই বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সম্প্রতি সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭ জারি করেছে।

প্রকৃতির ক্ষতি করে, পরিবেশ বিনষ্ট করে ভালো থাকা যায় না, সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করাও সম্ভব নয়। মানুষের যেমন মূল্য আছে, পরিবেশেরও তেমনি মূল্য আছে। ঢাকা শহরের পরিবেশ উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে পরিবেশ উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে।

ঢাকার পরিবেশ উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে খাল পুনরুদ্ধার, অবৈধ দখলমুক্ত, সংস্কার এবং আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে নাগরিক সমাজ সাধুবাদ জানিয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ঢাকার খালগুলো দিয়ে শহরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যেত। স্বাভাবিক কারণেই পরবর্তী সময়ে এই এলাকায় নৌপথের মাধ্যমেই মালামাল পরিবহণ ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটতে থাকে। সেই সময়ের যোগাযোগ প্রধানত নৌ পরিবহণ ব্যবস্থার উপরই নির্ভরশীল ছিল। 

নদী নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের ২০২০ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় ৭৩টি খাল রয়েছে। তবে ২০১৬ সালে করা ঢাকা জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী খালের সংখ্যা ৫৮টি। তখন জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এসব খালের মধ্যে ৩৭টি খালেই দখলদার রয়েছে। ফলে এসব খাল স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়েছে। আর বাকি সব কটি খালের জায়গায় রাস্তা হয়েছে। 

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত উন্নয়নের নামে অধিকাংশ খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। আজ অবশিষ্টগুলোও সঙ্কটাপন্ন। যেসব খাল দিয়ে এক সময় স্টিমার চলতো এখন সেখান দিয়ে নৌকাও চলে না। খালের সঙ্গে নদীর যে যোগাযোগ ছিল, তা আজ বিচ্ছিন্ন। খালের পানি এখন আর নদীতে গড়ায় না। খালগুলি হারানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জলাবদ্ধতা, পানি সঙ্কট এবং হ্রাস পাচ্ছে মৎস সম্পদ ও জীববৈচিত্র। আমাদের নানা অদূরদর্শী কর্মকাণ্ড এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। খালগুলো ভরাট করে ভবন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ড্রেন বানানো হয়েছে। ঢাকার কোনো কোনো খাল সকলের চোখের সামনেই সরাসরি, আবার কোনোটি আবর্জনা ফেলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মূলত স্বাধীনতার পর নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঢাকা শহরের পরিধি ও জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নদী, খাল ও জলাশয় ভরাট হতে থাকে। যার ফলাফল হিসেবে নব্বই সালের পর থেকে ঢাকায় জলাবদ্ধতা সংকট প্রকটতর হচ্ছে। নগরীতে অবস্থিত খাল ও জলাশয় ভরাট হওয়াই এই জলাবদ্ধতার মূল কারণ। ঢাকা শহরে এখন সামান্য বৃষ্টিতেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে জনজীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়।

দখল–দূষণের সঙ্গে নানা ধরনের আবর্জনা জমে ঢাকার খালগুলোর প্রস্থ কমে তা সরু নালায় রূপ নিয়েছে। কিছু এলাকায় আবর্জনা এমনভাবে জমে আছে সেখানে কোনো খাল আছে কিনা, সেটিও বোঝার উপায় নেই। চারদিকে উৎকট গন্ধের কারণে খালপাড়ের বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ। পথচারীদেরও চলতে হয় নাক চেপে। অর্থাৎ নির্মল পরিবেশ সেখানে অনুপস্থিত। যদিও ধীরে ধীরে সে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। খালগুলোতে এখন পানির প্রবাহ দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর ৩৯টি খাল চিহ্নিত করে অবৈধ দখলমুক্ত, সংস্কার এবং আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে সিএস নকশা অনুযায়ী খালের সীমানা চিহ্নিত করা হবে। সিএস পরবর্তী রেকর্ড পরিবর্তন করে যেসব খাল দখল হয়েছে, তাও সংশোধন করা হবে। এছাড়া খালের পাড়ে থাকা নকশাবহির্ভূত অবৈধ স্থাপনাও একযোগে উচ্ছেদ করবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পাশাপাশি বাসাবাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ নদী বা খালে দেওয়া বন্ধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। ইতিমধ্যে খালগুলো পুনরুদ্ধার, খনন ও সংস্কারের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। সিএস নকশা অনুযায়ী খালের পুরো চরিত্র ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের কার্যক্রম নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার পানি নিষ্কাশনের প্রধান চ্যানেল হিসেবে কালুনগর, জিরানী খাল, মাণ্ডা খাল, শ্যামপুর খাল, পান্থকুঞ্জ বক্স কালভার্ট ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। 

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব (খাল ও ড্রেনেজ) আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০। ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে এখন ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পুরো দায়িত্ব পেয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। ঢাকার ২৬টি খাল ওয়াসার কাছ থেকে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই সিটি কর্পোরেশনই খাল উদ্ধার ও খনন শুরু করেছে। পরিকল্পনা নিয়েছে আরো অগ্রবর্তী কাজের। 

বিশ্বের অনেক দেশেই খালগুলোকে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটাকে পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঢাকা সিটিতেও সে রকম ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করার পরিকল্পনা আছে। খালগুলোতে যেসব ব্রিজ আছে, সেগুলো উন্নত বিশ্বের আদলে উঁচু করে তৈরি করলে নৌকা বা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। পুরো ঢাকা শহরে ইন্টারকানেকশন নৌরুট চালু করা হবে বলে জানা গেছে। এটি বাস্তবায়ন করা হলে সড়ক পথের ওপর চাপ কমবে, যানজট কমবে। কিন্তু খালের পানিতে ময়লা থাকলে মানুষ পানিপথে ভ্রমণ করবে না। এজন্য যার যার বাসার পয়োঃবর্জ্য তার নিজস্ব সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমে এসব খালে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। এজন্য ঢাকার কোনো ভবন থেকে পয়োঃবর্জ্য আর খালে ফেলতে দেওয়া হবে না। আর স্বচ্ছ পানিতে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দুই পাড়ে সারি সারি গাছ এবং হাঁটার চওড়া রাস্তা তৈরি করা হবে। খালের পানি যাতে সারাবছর পরিষ্কার রাখা যায় তার জন্য খাল দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ সকল পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন ঢাকার বাসিন্দাদের নির্মল পরিবেশে কিছুটা বিনোদনেরও সুযোগ তৈরি করে দিবে।

নগরের বাসিন্দারাই খাল দখল করে, ভরাট করে, ময়লা ফেলে ভাগাড় বানায়। এ বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। ময়লা আবর্জনার জন্য নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলতে অভ্যস্ত করতে হবে। খালের স্বাভাবিক গতি সচল রাখতে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। সেটা করা না গেলে ঢাকার খাল পুনরুদ্ধার করেও ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা কিংবা খালের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। একইসঙ্গে ভাবতে হবে কীভাবে ঢাকার পুনরুদ্ধার করা খালগুলোকে চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। এটা করা সম্ভব হলে আগামীর ঢাকাবাসী নদী-খাল-জলাশয় আর সবুজের ভিতর বসবাসের সুযোগ পাবে। 
 

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়