ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্বামীর কটু কথায় বৃদ্ধার জিমে ভর্তি

অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ১৫ জুন ২০২১  
স্বামীর কটু কথায় বৃদ্ধার জিমে ভর্তি

কুড়িতেই বুড়ি— এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন তাকিশিমা মিকা। বয়স তার কাছে শুধুই একটি সংখ্যা। তাই তো ৯০ বছর বয়সেও তিনি একটি জিমের ফিটনেস ইনস্ট্রাকটর।

এই বয়সেও নিয়মিত শরীরিক কসরত করছেন তাকিশিমা মিকা। তার শারীরিক গড়নও ঠিক রেখেছেন। জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক ফিটনেস ইনস্ট্রাকটর তিনি। সদা হস্যজ্জল এই নারী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন।

কিন্তু শুরু থেকেই তাকিশিয়া মিকা ফিটনেসের প্রতি যত্নশীল ছিলেন তা কিন্তু নয়। তার বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখন তিনি ফিটনেস সচেতন হয়ে ওঠেন। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। পুরোদস্তুর গৃহিণী তাকিশিমা মিকার বয়স যখন ৬৫, তখন তার ওজন বেড়ে যায়। এ নিয়ে তার স্বামী নানা কটু কথা শোনাতেন। এরপর জিমে যাওয়া শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু।

তাকিশিমা মিকা বলেন, ‘ওই সময় একটু মোটাই ছিলাম। আমার টাউজারের সাইজ এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ ছিল। যদিও আমার ওজন বেশি ছিল তা বলব না। একদিন আমার ওজন নিয়ে স্বামীর একটি বক্তব্য শুনে জিমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিই।’

শুরুতে পাঁচ বছরে ১৫ কিলোগ্রাম ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন তাকিশিমা। পরবর্তী সময়ে ফিটনেসের প্রতি তার ভালোবাসা তৈরি হয়। পরে একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ নিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে ওজন কমানোর জন্যই ফিটনেসে মনোযোগী হই। পরে ব্রাজিলিয়ান নারীদের মতো গড়ন তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। এরপর চওড়া কাঁধ ও চিকন কোমর করেছি।’

তাকিশিমার বয়স যখন ৮৭, তখন ফিটনেস ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৯০ বছর বয়সেও তিনি রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন এবং ভোর তিনটায় ওঠেন। এরপর ৪ কিলোমিটার হাঁটেন। পরে সুষম খাবার দিয়ে সকালের নাস্তা করেন। তারপর দিনের বেশিরভাগ সময় ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন কাজ করেন। খাবার নিয়েও বেশ সচেতন থাকেন।

তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তাকিশিমা মিকার এখন দু’টি লক্ষ্য— সবার ফিটনেস ঠিক করা এবং একশ বছর বয়সেও ফিটনেস ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করা।

ঢাকা/মারুফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়