ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বেতন গ্রেড পরিবর্তন চান বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ১৮ জুন ২০২১  
বেতন গ্রেড পরিবর্তন চান বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা

প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন, পরিচালনা পরিষদ বা গভর্নিং বডিতে সদস্য রাখা ও ‘চাকরীবিধি ২০১২’ কার্যকর করাসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ।

শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তারা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার মন্টু। সভায় পরিষদের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা প্রতিনিয়তই প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকি।  শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন বিল প্রস্তুত করে ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা, শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কাজ করা, রেজিস্ট্রেশন, উপবৃত্তি, ব্যানবেইজ, মাউস, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য প্রেরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করি।  দেশের সব স্তরের মানুষ এই করোনার সময়ে বিভিন্নভাবে সুবিধা পেয়েছেন কিন্তু আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করেও সুবিধাবঞ্চিত।

তারা বলেন, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে অবসরগ্রহণ পর্যন্ত আমাদের বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয় না।  চাকরি জীবনে নেই কোন পদোন্নতি।  ‘চাকরীবিধি ২০১২’ নীতিমালা অনুসরণ না করায় নেই কোনো কর্মঘণ্টা।  আমাদের দেওয়া হয় না ওভারটাইম ভাতা, মানা হয়না ছুটিবিধি নিয়ম।  বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সব কার্যক্রম করতে হয়, কিন্তু আমাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটারসহ অন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই।  শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষক এবং তাদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি পায়, আমাদের সংখ্যা-বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয় না।  এ অবস্থায় আমরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছি।

এ সময় পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।  দাবি হলো- তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান করা এবং প্রণীত চাকরীবিধি অনুসরণ করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা; পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা এবং পেশাগত উন্নয়নের কম্পিউটারসহ অন্যান্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; পূর্বঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চাকরি বিধি ২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের সদস্য রাখার ব্যবস্থা করা; শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভাগীয় কোটায় শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে পদোন্নতি দেওয়া; এবং সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।

/ইয়ামিন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়