ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রপ্তানি ট্রফি’ পাচ্ছে ৬৬ প্রতিষ্ঠান

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৩১ জুলাই ২০২১  
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রপ্তানি ট্রফি’ পাচ্ছে ৬৬ প্রতিষ্ঠান

পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ৬৬টি প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রপ্তানি ট্রফি’র জন্য মনোনীত হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের রপ্তানির জন্য এ ট্রফি দেওয়া হবে।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ তালিকা চূড়ান্ত করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রপ্তানিতে উৎসাহ যোগাতে সরকার প্রথমবারের মতো এ ট্রফি দিতে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জন্য সেরা রপ্তানিকারকদের নির্বাচন গত বছর সম্পন্ন হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এখন যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে।

২০১৮ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রপ্তানি ট্রপি’র জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় হোম অ্যান্ড স্পেশালাইজড টেক্সটাইলস রপ্তানি খাতে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের নাম শীর্ষে আছে।

আরএমজি ওভেন ক্যাটাগরিতে রিফাত গার্মেন্টস সর্বোচ্চ পরিমাণে তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য স্বর্ণপদক পাবে। এ খাতে একেএম নিট ওয়্যারকে রৌপ্য এবং তারাসিমা অ্যাপারেলসকে ব্রোঞ্জ ট্রফির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

নিটওয়্যার খাতে স্কয়ার ফ্যাশন স্বর্ণ, ফোর এইচ ফ্যাশন সিলাভার এবং জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ ব্রোঞ্জ ট্রফি পাবে।

সুতা তৈরিতে বাদশা টেক্সটাইল স্বর্ণ, কামাল ইয়ার্ন রৌপ্য এবং নাইস কটন ব্রোঞ্জ ট্রফির জন্য মনোনীত হয়েছে।

কাপড় খাত থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য এনভয় টেক্সটাইলকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এছাড়া, নোমান উইভিং মিলসকে দ্বিতীয় এবং ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং তৃতীয় হওয়ার স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।

হোম এবং স্পেশালাইজড টেক্সটাইল বিভাগে জাবের অ্যান্ড জাবের ফেব্রিক্স স্বর্ণ এবং এসিএস টেক্সটাইলস সিলভার ট্রফির জন্য মনোনীত হবে।

টেরি টাওয়েল খাতে নোমান টেরি টাওয়েল মিলস শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

হিমায়িত খাদ্য বিভাগে তিনটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কৃত হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে—বিডি সী ফুড, এমইউ সী ফুড এবং জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস।

পাট রপ্তানিকারকরাও ২০১৮ সালের পুরস্কারের তালিকায় আছে। আকিজ জুট মিলস পাট পণ্য বিভাগে শীর্ষে আছে এবং গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার দ্বিতীয় স্থানে আছে।

ক্রাস্ট বা ফিনিসড চামড়া রপ্তানিকারকদের মধ্যে এপেক্স ট্যানারি স্বর্ণ পদক পেতে যাচ্ছে। চামড়াজাত পণ্য খাতে পিকার্ড বাংলাদেশ ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক ছিল। তার পরেই এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিবিজে লেদার গুডস।

একই বছর জুতা খাতে সর্বোচ্চ রপ্তানি উপার্জনকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে বে ফুটওয়্যার। এফবি ফুটওয়্যার দ্বিতীয় এবং অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার তৃতীয় অবস্থানে আছে।

কৃষিপণ্য (তামাক ছাড়া) খাতে মেসার্স মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি ছিল শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। একই খাতে হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ দ্বিতীয় এবং আব্দুল্লাহ ট্রেডিং তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক ছিল।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাতের (তামাক ছাড়া) শীর্ষ তিন রপ্তানিকারক হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—প্রাণ ডেইরি, প্রাণ অ্যাগ্রো এবং হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো।

হস্তশিল্প খাতে কারুপণ্য রংপুরকে ২০১৮ সালের শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিডি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বিডি ক্রিয়েশন ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক।

বেঙ্গল প্লাস্টিকস লিমিটেড ইউনিট-৩ প্লাস্টিক পণ্য খাতে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক ছিল। এর পর অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ এবং তানভীর পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ।

সিরামিক রপ্তানিকারকদের মধ্যে শাইনপুকুর সিরামিকস ছিল সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক এবং তার পরেই আর্টিজান সিরামিকস লিমিটেড নির্বাচিত হয়েছে।

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্টস এ খাতের শীর্ষ রপ্তানিকারক এবং রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউনিট-২ এ খাতের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক।

ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরিতে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক এবং বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকরক হিসেবে নিবাচিত হয়েছে।

বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড অন্যান্য শিল্প পণ্য বিভাগে শীর্ষ রপ্তানিকারক, মেরিন সেফটি সিস্টেম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক এবং এস এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক।

ওষুধ রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এ খাতে রপ্তানিকারকদের তালিকায় শীর্ষে আছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ছিল দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক।

রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে শতভাগ বাংলাদেশের মালিকানাধীন ওভেন ও নিট কারখানার মধ্যে ইউনিভার্সাল জিন্স এবং প্যাসিফিক জিন্স অর্থবছরে প্রথম এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক হিসেবে পুরস্কার পাবে।

ইপিজেডে বাংলাদেশের মালিকানাধীন সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বিভাগে ফারদিন অ্যাক্সেসরিজ এবং আরএম ইন্টারলাইনিং শীর্ষ দুই রপ্তানিকারক ছিল।

তালিকা অনুযায়ী প্যাকেজিং এবং আনুষাঙ্গিক ক্ষেত্রে, মন্ট্রিমস সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক। এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং এ  খাতে দ্বিতীয় এবং ইউনিগ্লোরি প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক।

অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশনকে অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য বিভাগে শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। এ খাতে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনালকে দ্বিতীয় এবং মেসার্স ব্যাং-চুং ট্রেড ও ট্যুরিজম খাতে তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে তালিকাভ’ক্ত করা হয়েছে।

মীর টেলিকম অন্যান্য পরিষেবা বিভাগে ২০১৮ সালের শীর্ষ রপ্তানিকারক হয়েছে।

নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে স্কয়ার টেক্সটাইলসকে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ খাতে আল-সালাম ফেব্রিক্স (প্রাইভেট) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক এবং ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টসকে (প্রাইভেট) বছরের সর্বোচ্চ তৃতীয় রপ্তানিকারক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়